খেলা

মহাসাগরে এবারও সফল হলেন প্যারা সাঁতারু রিমো

Para swimmer Remo succeeds in the ocean again

Truth Of Bengal: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: গত ৬ এপ্রিল দক্ষিণ আফ্রিকার রুবেন আইসল্যান্ড থেকে মেল্কবস্ট্র্যান্ট অবধি সাঁতারের অভিযানের জন্য ঘর ছেড়েছিলেন হাওড়ার প্যারা সাঁতারু রিমো সাহা। গত বার এই পরিকল্পনা করলেও শরীর সঙ্গ না দেওয়ায় রিমোর সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। কিন্তু যে স্বপ্ন রিমো দেখেছিলেন। মাত্র এক বছরের মধ্যেই কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও তাঁর সেই স্বপ্নই বাস্তবায়িত করলেন রিমো।

বুধবার দুর্গম আটলান্টিকের এই পথ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন হাওড়া সালকিয়ার এই তরুণ। শুক্রবার ফোনে নিজের সেই অভিজ্ঞতার বলতে গিয়েই সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রিমো জানান, ‘আমি গর্বিত সফলভাবে আটলান্টিকের এই দুর্গম পথ অতিক্রম করতে পেরে। জলে নেমে সাঁতার শুরু করার সময় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থাকলেও, যত বেলা হয়েছে তাপমাত্রা ততই কমে যাচ্ছিল। একটা সময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে সাঁতার কাটতে হয়েছে আমাকে। তবুও আমি থেমে যাইনি। কেননা দেশ তথা আমার বাংলার মানকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল।’

এখানেই শেষ নয়। রিমো এখন নস্টালজিক হয়ে রিমো বলেন, ‘আটলান্টিক মানেই বিপদ। যেখানে মৃত্যু যেন ওত পেতে অপেক্ষা করতে থাকে। একটা ভুল মানেই মৃত্যু। সঙ্গে রয়েছে জলজ প্রাণীদের সঙ্গে কঠিন লড়াই। জেলিফিস থেকে নানা জলজ প্রাণী প্রতিনিয়ত শরীরে আঘাত করতে থাকে। তাদের সঙ্গে লড়াই করে আমি সফল হয়েছি। এর থেকে আনন্দ আর কি হতে পারে। তবে আমি গর্বিত এই কারণে প্রথম ভারতীয় প্যারা সুইমার হিসাবে আমি পর পর দুবার এই মহাসাগরের বুকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি। এর থেকে বড় পাওনা আর কিছু হতে পারে না।’

দেশের হয়ে এত সাফল্য, এত কিছু! কিন্তু কোথাও যেন একটা আক্ষেপের সুর এদিনও ভেসে এল রিমোর গলায়। হাওড়ার প্যারা সুইমারটি বলেন, ‘এই অভিযানে আসতে আমার মোট সাড়ে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আমি কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি। রাজ্য কিংবা কেন্দ্র দুই সরকারের কাছেই আমার বিনীত নিবেদন, একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে যথেষ্ট উপকৃত হব। এবং আরও বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করে দেশের মানকে তুলে ধরতে পারব। সরকারের কাছে এটাই আমার একমাত্র অনুরোধ।’

Related Articles