Truth Of Bengal : নারীদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়ে এর আগে সরব হয়েছিলেন অনেক ক্রীড়াবিদ-সহ কূটনৈতিক বিদও। কিন্তু সেই দলে নাম লেখালেন না ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বাটলার।
এই প্রসঙ্গে নিজের মত জানাতে গিয়ে ব্রিটিশ অধিনায়ক জানান, ‘আমার মনে হয় না বয়কট কখনও সমস্যার সমাধান সূত্র হতে পারে। একজন খেলোয়াড় হিসাবে আপনি যতটা পারেন খবর রাখার চেষ্টা করবেন। বিশেষজ্ঞরা আপনার থেকে হয়তো আরও বেশি খবর রাখবেন। আমি এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করেছি, ওরা এই বিষয়টি কীভাবে দেখছেন তা নিয়ে। তবুও আমি বলছি, বয়কটের রাস্তায় হাঁটলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
ব্রিটিশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি একজন খেলোয়াড় হিসাবে কখনই চাইব না, রাজনীতি কিংবা কূটনীতির লড়াই য কোনও খেলার মঞ্চে প্রবেশ করুক। আমি আশাবাদী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমরা ভালভাবেই খেলতে পারব।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার খর্ব করার বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সাংসদরা তাঁদের সংসদে সরব হয়েছিলেন। এমনকি ইংল্যান্ড যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানকে বয়কট করে তার জন্য ইসিবি-র কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটেনি।
রশিদ খান, রহমুতুল্লাহ গুরবাজদের এইভাবে বয়কটের প্রসঙ্গ যেন ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ঘটনা। হারারাতে আয়োজিত সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড সরকার তাদের দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচ যেন বয়কট করা হয়। সেবার দেশের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে মানতে বাধ্য হয়েছিলেন নাসের হুসেনের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ক্রিকেটাররা।






