
The Truth of Bengal : লজ্জার হার বাংলাদেশের। আমেরিকার বিরুদ্ধে মাত্র ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমেও ১৩৮ রানেই অল আউট হয়ে গেল টাইগাররা। ইতিহাস গড়ল আমেরিকা। এই প্রথমবার আইসিসির কোনও পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে কোনও সিরিজ জিতল।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান বোর্ডে তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্র দল। তাদের হয়ে স্টিভেন টেলর ও মোনানক পটেল মিলে ওপেনিংয়ে বেশ ভালই শুরু করেছিলেন। ৬.৪ ওভারে ব্যক্তিগত ৩১ রানের মাথায় স্টিভেন আউট হয়ে যান। পরের বলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান আন্দ্রিয়েস গুজ। তারপর অ্যারন জোনসের সঙ্গে আমেরিকার ইনিংসের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন মোনাঙ্ক। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের জুটিতে ৫৬ বলে ৬০ রান ওঠে। অ্যারন জোন্স ৩৫ রান করেন। কোরি অ্যান্ডারসন ১১ রানের বেশি এদিন করতে পারেননি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্য়ে শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন। রিসাদ হোসেন ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা জঘন্য হয় বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। তানজিদ হাসান ১৯ রান করেন। দুটো বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হৃদয় এবং শান্তের জুটিতে ৪৮ রান যোগ করার পরে চূড়ান্ত হাস্যকরভাবে রান-আউট হয়ে যান বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন। শাকিব আল হাসান ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু কেউই দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
ম্যাচের শেষে শান্ত বললেন, ‘এই হার আমাদের কাছে সত্যিই হতাশাজনক। মিডল ওভারে আমরা একেবারেই ভালো ব্যাট করতে পারিনি। হারিয়েছি একের পর এক উইকেট। আর এই জায়গাতেই আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছি।’
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এই পরাজয় বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের রীতিমতো ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এই হার প্রসঙ্গে নাজমূল হোসেন শান্ত বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এই সিরিজটা আমরা খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। তবে আমাদের হাতে আরও একটা ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচে আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করব।’