রাজনীতি

বাংলার বকেয়া পাওনার দাবিতে দিল্লিতে মহা গর্জনের প্রস্তুতি

Tmc in Delhi

The Truth of Bengal: স্বাধীনতা আন্দোলন হোক বা যেকোনও দেশের স্বার্থে  আন্দোলন সবেতেই বাংলা দেশকে পথ দেখিয়েছে।অন্যায় –অবিচারের বিরুদ্ধে কোনওদিন আপস করেনি।গান্ধীজির অহিংস আন্দোলন যেভাবে তত্কালীন ব্রিটিশ শাসকদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল ,সেভাবেই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতা চ্যুত করতে বাংলার ১০কোটি মানুষ।বারবার বাধা পেয়ে এই অভিযোগ জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে আগ্রহী  তৃণমূল নেতৃত্ব।তাই মহাত্মাগান্ধী জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়া বাংলার মানুষের বুক ফাটা আর্তনাদ গান্ধীজয়ন্তীর দিন ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।কিন্তু কেন্দ্রের সরকার পদে পদে তাতে বাধা দিচ্ছে।প্রথমে রামলীলা ময়দানে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি না দিয়ে দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের মনোভাব স্পষ্ট করে বলে অভিযোগ।

তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন,দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে।তাই বিজেপি সরকারই যে সেই অবস্থানে ছাড়পত্র দেয়নি তা বুঝতে কারুর অসুবিধা হয় না।এবার আইআরটিসিকে টাকা জমা দেওয়ার পরও রেল মন্ত্রকের হাত ধুয়ে ফেলে বাংলার স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা বাংলার কন্ঠরোধের কৌশল বলে সোচ্চার তৃণমূল নেতৃত্ব।তবু তাঁরা দমতে রাজি নন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের গণতান্ত্রিক পথেই বুঝে নেওয়ার হুঙ্কার বঞ্চিত বঙ্গবাসীর প্রতিনিধিদের গলায়। আসলে লাখো মানুষের জমায়েতকে দিল্লির নেতারা ডর পাচ্ছে,ভয়ে কাঁপছে বলে সুর চ়ড়ান তৃণমূল নেতৃতব। কেন্দ্রের এই অমানবিক রাজনীতি বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।

কোনওদিনই মানবে না।চব্বিশে বিজেপি মুখের মতো জবাব পাবে।এদিকে রাজ্যের ১কোটি ১৫লক্ষ বকেয়া আদায় করে আনতে মরিয়া আন্দোলনকারীরা বাসে চেপেই দিল্লি রওনা হয়ে যায়। কলকাতা থেকে দিল্লি,   সড়কপথে  দূরত্বটা নেহাৎ কম নয়। যাতায়াত মিলিয়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি। দূরের পথ যেতে-আসতে যাতে কারও কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে দিকটা নজর রাখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।  মোট ৫০টি বাসে করে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের জনপ্রতিনিধি এবং একশো দিনের ‘জব কার্ড হোল্ডার’দের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।নেতাজি ইন্ডোর থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম বাসটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়। ধাপে ধাপে বাকি বাসগুলিও ছাড়ার প্রক্রিয়া চলে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে বলে তৃণমূলের তরফে জানা গেছে।

Free Access

Related Articles