
The Truth of Bengal: মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। এদিন প্রথম দফায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিজেপি। দ্বিতীয় অর্ধে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সভা ভণ্ডুল করার মেজাজে নেমে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মন্তব্য করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যা বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
এরপরই সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসকপক্ষ তৃণমূলের অভিযোগ, স্পিকারকে অসম্মান করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনি সংবিধানবিরোধী। আপনার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।‘ এই সময় কাগজ ছিঁড়ে স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুড়ে দেন বিরোধী দলনেতা। যা স্পিকারকে অসম্মানের শামিল। বিরোধী দলনেতার এই আচরণ নিয়ে হট্টগোল বেধে যায়। সেই সময় স্পিকারের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়। তারপরও বিরোধী দলনেতা শিষ্টাচার ভাঙেন বলে দাবি তৃণমূলের।
এরপর বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার জন্য মোশন আনেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাতে সম্মত হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। চলতি অধিবেশনে আর অধিবেশন কক্ষে থাকতে পারবেন না তিনি। ৩০ দিনের জন্য তাকে সাস্পেন্দ করা হয়েছে। পরে আম্বেদকার মূর্তির সামনে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতার এমন অসংসদীয় আচরণের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল বিধায়করা।
Free Access