হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন! তারকা প্রার্থী নিয়ে ভোটপ্রচারে শাসক-বিরোধী শিবির
Panchayat Election Campaign

The Truth of Bengal: পঞ্চায়েতে কার কতশক্তি বেশি, কে কত জনতার কাছে তার পরীক্ষা শনিবার। উইকএন্ডের সেই ভোটযুদ্ধের জন্য বুধবার টানটান প্রচারে নেমে পড়েন শাসক থেকে বিরোধী, সবপক্ষই। কাঁটায় কাঁটায় টক্করের আওয়াজ তুলতে মাটি কামড় রয়েছেন লাল-সবুজের মতোই গেরুয়া বাহিনীও।বুধবার বাংলার সবপ্রান্তেই সব দলের প্রার্থীরা ভোটারদের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
নদিয়ার কালিপুরে রোড শো করেন রূপোলী পর্দা থেকে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে আসা মিমি চক্রবর্তী। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তৃণমূল স্তরের মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেন তৃণমূলকে মানুষ বেছে নেবে? মিমির মাস্টারস্ট্রোক,সারা বছর যাঁরা পরিষেবা দেন তাঁদেরই মানুষ বেছে নেবে। মালদায় লালপার্টিকে পঞ্চায়েতের কুর্সিতে বসানোর ডাক দেন মহম্মদ সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের ডাকে সাড়া দিয়ে সিপিএমের প্রার্থীরা প্রচারে নামেন। ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করেন তিনি।লা লপার্টির জোর বাড়াতে তৃণমূল–বিজেপিকে একযোগে নিশানা করেন মহম্মদ সেলিম।
নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিজেপিও কেন্দ্রের প্রকল্পকে আঁকড়ে ধরে পজিটিভ ইস্যু খুঁজতে চাইছে।কিন্তু তারা প্রশ্নের মুখে পড়ছে,উত্তরবঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন সহ ১৮টি সাংসদ পেয়ে বিজেপি কী করেছে।জনতার মন বুঝে পাল্টা প্রচারে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের ভাটপাড়ায় ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। চা বলয়ে লোকসভা-বিধানসভার ভোট পেতে বিজেপি নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। তৃণমূলের কটাক্ষ, প্রতিশ্রুতির ফানুস চুপসে গেছে। বাগান শ্রমিকদের দলে টানতে ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তিনি জনতাকে বোঝান কেন্দ্রের সরকার তাঁদের হিতে কি করেছে।
তৃণমূলও এর জবাব দিতে বাগান শ্রমিকদের দুয়ারে যাচ্ছে।বাংলার সরকারের কাজ থেকে বাংলা বিরোধী প্রচারকে তাঁরা খণ্ডন করছেন। সংসদীয় রাজনীতিতে ছাপ রাখার পর গ্রামের ভোটযুদ্ধেও কাণ্ডারীর আসরে নুসরত। ভি়ড় থিকথিকে সভায় জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন অভিনেত্রী। বিভাজন থেকে বঞ্চনা সবই তাঁর হট টপিকে উঠে আসে। বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে বাঁকড়া হাই স্কুল মাঠের সভা থেকে দিল্লিতে বদলের পক্ষে সুর চড়ান। বাংলাজুড়ে শাসক-বিরোধীর এই তোপধ্বনি জানান দিচ্ছে,পঞ্চায়েতের জয়পরাজয় থেকেই দিল্লির ভোটের সুর বাঁধা হতে চলেছে।