
The Truth of Bengal: ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন আর কি কেউ মুজাহিদিন বলে? ইন্ডিয়া নামের সঙ্গে যুক্ত করে ওনারা যত বাজে কথা বলবে,তত মনে হবে নামটা ওনাদের পছন্দ হয়েছে। বিরোধী জোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাজভবনে এভাবেই হাল্কা সুরে বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,দুটি আর্থিক বিল নিয়েই মূলতঃ আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস এরাজ্যে যখন আসেন তখন তাঁর সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাজির ছিলেন।
সেই সুসম্পর্কে পরবর্তী সময়ে ছন্দপতন হয়। পঞ্চায়েত ভোট থেকে বিধানসভার অধিবেশন একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। মতভেদ দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও। সেই আবহে মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা সেরে ফুরফুরে মেজাজেই রাজভবন থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যের আবহে সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের বিধানসভা নিয়ে কথা হয়। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে তুলনা টেনেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাতীয় রাজনীতি নিয়ে মতামত প্রকাশের পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার বিলের প্রসঙ্গে চলে আসেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, রাজ্যের এখন যাবতীয় বিল পাস হয়ে গেছে। হাতে সেভাবে বিল নেই। তবে আগামীদিনে ২টি আর্থিক বিল উথ্থাপন করা হবে রাজ্য বিধানসভায়।সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে অবহিত করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্কার করে দেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। চব্বিশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে ইন্ডিয়া। বেঙ্গালুরুতে মেগা বৈঠকে জোটের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিরোধীরা। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স,যা সংক্ষেপে, ইন্ডিয়া। এখন সেই বিরোধী জোটের সম্মিলিত শক্তির চাপে রয়েছে বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রী মহাজোটকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে জোটের প্রাসঙ্গিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলছেন বলে বিরোধীদের একাংশ মনে করছে।