রাজনীতি

দিলীপের কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে তৎপর কমিশন, জেলাশাসকের রিপোর্ট পৌঁছল দিল্লিতে

Commission on Dilip's ugly comments

The Truth of Bengal: মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করা দিলীপ ঘোষের কড়া শাস্তি দাবি করেছে তৃণমূল। প্রথমে চিঠি নালীশের পর আজ তৃণমূল প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে দিলীপের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানায়। দিলীপ ইস্যুতে তৎপরতা কমিশনে। জেলাশাসকের রিপোর্ট পৌঁছল দিল্লিতে। মঙ্গলবার লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের রিপোর্ট তলব করা হয়। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ওই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে।

পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের রিপোর্টে কী বলা আছে? দিলীপ ঘোষের মঙ্গলবারের বক্তব্য নিয়ে জেলাশাসক ঠিক কী রিপোর্ট পাঠিয়েছেন? এ বিষয়ে কোনও তথ্য সামনে আনেনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। যে রিপোর্ট জেলাশাসক পাঠিয়েছেন, সেই রিপোর্টই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ পাঠানো হয়েছে। দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে ঠিক যা বলেছিলেন তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। তৃণমূলের দাবি, নির্বাচনের ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ ভেঙেছেন দিলীপ। তিনি যাতে প্রার্থী হতে না পারেন তা নিশ্চিত করুক কমিশন। শুধু শো-কজ নয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক দিলীপের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।

বুধবার সকালে তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, সেই ভিডিয়ো-র সিডি তুলে দেন আধিকারিকের হাতে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নির্বাচনী প্রচারে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ সম্পর্কে আক্রমণ করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন। একদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন অন্যদিকে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন বিজেপি প্রার্থী। যেখানে আদর্শ আচরণবিধিতে বলা আছে কেউ কোনও মহিলা সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না নির্বাচনী প্রচারে। আরও বলা আছে কোনওরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ চলবে না।

Related Articles