অফবিট

এক সময় নাকি ময়ূরের হাট বসতো, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে আসুন সীমান্তের এই গ্রামে

Once upon a time, there was a peacock market, come to this border village for the natural beauty

Truth Of Bengal: সুব্রত দত্ত, নদিয়া: শিয়ালদহ মেইন শাখার রানাঘাট-গেদে মধ্যে পরে রেল স্টেশন ময়ূরহাট হল্ট। একেবারেই গ্রামীন এক রেল স্টেশন। অধিকাংশ সময় ফাঁকা বললেই চলে। ট্রেনের সময় হলে যাত্রীদের দেখা মেলে। রানাঘাট পেরোনোর পর থেকেই প্রকৃতির গাঢ় সবুজের মনমুগ্ধকর দৃশ্য বেশ আনন্দদায়ক। শান্ত নিরিবিলি স্টেশনগুলি ফেলে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে গেদের উদ্দেশ্যে। গেটের পর ভারত শেষ। সীমান্ত রেল স্টেশন। তারপর বাংলাদেশের দর্শনা। একসময় এই পথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল করত। দার্জিলিং মেল চলত এই পথেই। আবার স্বাধীনতার আগে ঢাকা, খুলনা মেল চলাচল এই রেল পথ ধরে। রানাঘাট বড় জংশন স্টেশন। রানাঘাটের পর মেইন লাইন গেদে। অপর লাইন লালগোলা। রানাঘাট ছেড়ে গেদের পথে একটা অদ্ভুত নাম। স্টেশনের নাম ময়ূরহাট হল্ট।

চিত্র : সংগৃহীত

একেবারেই একটা শান্ত নিরিবিলি গ্রামীন স্টেশন ময়ূরহাট হল্ট। কয়েকজন স্থানীয় মানুষ ছাড়া কোন যাত্রী নেই সেখানে। ময়ূরহাট হল্ট স্টেশনটির চারিপাশের নির্ভেজাল গ্রাম্য পরিবেশ মনমুগ্ধ করবে বলা যেতেই পারে। কোথাও কোন আধুনিকতার ছোঁয়া নেই, কোনরকম শহরের কোলাহল নেই, কোন মানুষের সমাবেশ নেই, নেই কোনো কংক্রিটের কৃত্রিম অরণ্য। এক কথায় শান্ত নিরিবিলি নিটোল গ্রামীণ স্টেশন। স্টেশনে চারিপাশের নিস্তব্ধতা নির্জনতা বেশ উপভোগ্য। এখানকার মানুষদের মধ্যে কোন বৈচিত্র্যের বাহার নেই, তাদের পোষাক-আশাকের কোন জাঁকজমকতা নেই, সহজ সরল মুখগুলির মধ্যে কোন ওজ্জ্বল্য নেই। ওরা দরিদ্র, করুণ, বড়ই মায়াময়।

চিত্র : সংগৃহীত

স্টেশনের সামনে আদিগন্ত উন্মুক্ত চাষের জমি। স্টেশন নামাঙ্কিত ফলকের পাশেই একটা বাঁশের ঝাড়। পাশে ঝুপসি গাছপালার সংকীর্ণ জঙ্গল। তারপর শুরু চাষের জমি। সেই জমিতে ধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাকসবজি চাষ। এইসব দৃশ্য মনকে ভালো করে দিল।

নিজস্ব চিত্র

গেদের পথে গ্রাম বাংলার এক অপরূপ স্টেশনের সৌন্দর্য উপভোগ্য। নামটা সত্যিই অদ্ভুত। নাম ময়ূরহাট। কেন এমন নাম? এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অনেক কথা শোনা গেল। অনেকে বললেন, একসময় এই এলাকায় ময়ূরের রাজ ছিল। আশপাশের গানগুলিতে ময়ূর ঘুরে বেড়াতো। জঙ্গলে দেখা মিলত ময়ূরের। পরবর্তীতে ঘরে ঘরে ময়ূর পোষা শুরু হয়। এখানে হাট বসতো ময়ূরের। সেই থেকে নাম হয়ে যায় ময়ূরহাট। ঘোষপাড়ায় রয়েছে তপবন মন্দির। একদিন এই গ্রামীণ সৌন্দর্যের টানে চলে আসুন ময়ূরহাটে।

Related Articles