কলকাতা

অর্থহীন আন্দোলন! ২২-এর টেট উত্তীর্ণদের পদক্ষেপ নিয়ে কেন এমন বললেন ব্রাত্য?

শূন্যপদ নিয়ে চাকরিপ্রর্থীদের দাবি নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।

Truth Of Bengal: রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আন্দোলন নিয়ে এবার মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু। বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেছিলেন ব্রাত্য বসু ও কুনাল ঘোষ। সেই সাংবাদিক বৈঠকে ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু বলেন, “অর্থহীন, যেখানে পর্ষদ সভাপতি কিছুদিন আগে বলেছেন আর কিছু দিন পর শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করবে পর্ষদ। আর এক দুদিনের মধ্যে হয়তো প্রকাশ হত। এর পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে আমি জানি না।”

শূন্যপদ নিয়ে চাকরিপ্রর্থীদের দাবি নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কত শূন্যপদ আছে। পর্ষদও জানে না। এগুলো জানাবে জেলা, ডিপিএসসি থেকে রিপোর্ট আসবে তারপর জানা যাবে কত পদ শূন্য। এখনও সেই রিপোর্ট আসেনি। আর সেখানে ৫০ হাজার ৫১ হাজার শূন্যপদ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার কোনও মানে নেই।”

চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, ” আমাদের জেলা স্তরে শূন্যপদ নির্নয়ের কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে। তাই ২০২২ সালের টেট উত্তির্ণ যারা আন্দোলন করছেন তাঁদের এই আন্দোলনের এখন আর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমার অন্তত মনে হয় না।”

প্রসঙ্গত, রাজপথে ক্ষোভ উগরে দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভা গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হলেন একদল প্রার্থী। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রাথমিকে প্রায় ৫০ হাজার শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে আসেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন প্রতিবাদে। তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় গোটা বিধানসভা গেটের সামনে সৃষ্টি হয় রণক্ষেত্রের পরিবেশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, “আমরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছি, তবুও চাকরি পাচ্ছি না। সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ নেই। আর প্রতিশ্রুতির খেলায় নয়, এবার চাই নিয়োগ।”

Related Articles