প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে স্ট্রিটফুড হাব, শহরের স্বাদ বদলের সব রসদ এবার এক ছাদের নিচে
Street food hub is being launched under the initiative of the administration

The Truth of Bengal: উঃকলকাতার মুখরোচক তেলেভাজা,কচুরির মতোই দক্ষিণের কবিরাজি,কাটলেটের মতো স্ট্রিটফুড এবার মিলবে একটি এলাকাতেই। পুরপ্রশাসনের উদ্যোগে টালা ঝিলপার্ক,রাসেল স্ট্রিট বা পাটুলিতে হচ্ছে স্ট্রিটফুড হাব।প্রথম পর্যায়ে পাটুলিতে ১৬টি স্টল খোলা হচ্ছে। পেটুকদের স্বাদ বদলের সব রসদ সেখানে মজুত থাকবে। রসিকজনরা সেই ফুডহাবে গিয়ে আয়েস করে হরেক স্বাদের খাবার খেতে পারবেন।
মুখের মতো খাবার খুঁজে পাওয়া অনেকসময়ই সমস্যার হয়।বিশেষ করে রাস্তার খাবার বা স্ট্রিটফুড থাকলে রসিকরা আহ্লাদ করে তা উপভোগ করেন।তেলাভাজা,ফুচকা ,এগরোল বা চাউমিনের স্বাদ পেতে কেউ কেউ প্রয়োজনে ছুটে যান ডেকার্স লেন,শ্যামবাজার,হাতিবাগান বা দক্ষিণের গড়িয়াহাটে। স্টিট ফুড খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের দেখা মেলা কঠিন। বিশেষ করে ফুটপাথের সুস্বাদু গন্ধ বা জিভে জল আনা পদ বরাবরই আমাদের মন টানে। আবার পেটে টান পড়লে, পেটুকরাও স্ট্রিট ফুডের প্রাণকেন্দ্রে থমকে দাঁড়ান। পথের মাঝে খোঁজ পড়ে জিভে জল আনা পদের। তিলোত্তমার রসিকজনদের খাদ্যবিলাসের প্লেট ভরিয়ে তুলতে কলকাতা পুরসভার নতুন পরিকল্পনা। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার পাশাপাশি রকমারি –মুখরোচক খাবারের বিপণনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি কা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, পুজোর আগে এইসব জনপ্রিয় খাবারের প্রাণকেন্দ্রগুলো খুলে যাবে। তারই যুদ্ধকালীন তত্পরতা জারি আছে।
ফুড হাবের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আশা করা হচ্ছে এই উত্সবে স্ট্রিট ফুডের এই বিশ্বজনীন মেলবন্ধন সম্ভব হবে। দক্ষিণ ভারতের মতোই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা খাবারও এবার কলকাতায় মিলবে একজায়গায়।ফলে যাঁরা মনের মতো খাবার খেতে চান,তাঁদের আর শহরের নানা অংশে ঘুরতে হবে না। একজায়গায় বসেই পেটুক বা খাদ্য বিলাসীরা জিভেজল আনা নানা জনপ্রিয় পদ উপভোগ করার যে সুযোগ পাবেন তা এই শহরের খাদ্য বিপণনীর উদ্যোগ দেখে বলাই যায়।বাঙালির সেরা উত্সবে দেশ-বিদেশের যেসব মানুষেরা আসবেন তাঁরা এই প্রিয় খাবার খাওয়ার জন্য যে মুখিয়ে আছেন তা বলাই যায়।