মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলে সিবিআইকে নির্দেশ লোকপালের
তবে রিসেপশনের রেশ কাটতে না কাটতেই মহুয়াকে ঘিরে সামনে এল অন্য এক ঘটনা।
Truth Of Bengal: ক’দিন আগেই নদিয়ার করিমপুরে খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও প্রাক্তন সাংসদ পিনাকি মিশ্রর বিয়ের রিসেপশন। সুশোভিত পরিবেশে সেই অনুষ্ঠান সমাজমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে। তবে রিসেপশনের রেশ কাটতে না কাটতেই মহুয়াকে ঘিরে সামনে এল অন্য এক ঘটনা। প্রশ্ন-ঘুষ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করল লোকপাল। দেশের অ্যান্টি-কোরাপশন ওয়াচডগ সিবিআইকে মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি দিয়েছে।
লোকপালের নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে মহুয়া মৈত্র-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ওই চার্জশিটের একটি কপি লোকপালের রেজিস্ট্রিতে জমা দেওয়াও বাধ্যতামূলক। তবে এখনই প্রসিকিউশন শুরু করার অনুমতি দেয়নি লোকপাল। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করলে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বেঞ্চ জানিয়েছে।
লোকপালের আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিবিআই যে আবেদন করেছে—একজন ‘রেপুটেড পাবলিক সার্ভেন্ট’-এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি—এই মুহূর্তে সেটিই বিবেচ্য বিষয়। প্রসিকিউশনের অনুমোদনের দাবি এখনই উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন বেঞ্চ। লোকপাল জানায়, লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন ২০১৩-এর ধারা ২০(৭)(এ) এবং ধারা ২৩(১)-এর ক্ষমতা প্রয়োগ করেই এই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গত অগাস্টে দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়া অভিযোগ করেন, সিবিআই লোকপালের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা নাকি সঙ্গে সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হয়েছে। তাঁর বর্তমান স্বামী পিনাকি মিশ্র বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ এবং সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী। শুনানিতে হাইকোর্ট কঠোর নির্দেশ দিয়ে জানায়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে এবং লোকপাল–লোকায়ুক্ত আইনের বিধান কঠোরভাবে মানতে হবে। মহুয়ার আইনজীবীর দাবি ছিল, জমা দেওয়া রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে চলে যাচ্ছে—যা গোপনীয়তা ভঙ্গের শামিল।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ, উপহার ও বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। এমনকি সাংসদের জন্য তৈরি ইমেল আইডিগুলির পাসওয়ার্ডও সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এখন সিবিআইকে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হবে। এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কি না। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করলে তবেই লোকপাল পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রসিকিউশন অনুমোদন দেবে কি না তা বিবেচনা করবে।






