
Truth Of Bengal: পাসপোর্ট নিয়েও জালিয়াতির জাল বোনা হচ্ছে। এই খবর পেয়ে শুক্রবার হাবড়ার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় এক প্রাক্তন এসআইকে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান চালিয়ে এই গ্রেফতার করে।অভিযুক্তের নাম আব্দুল হাই। অশোকনগর বিধানসভার কামারপুর এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন এসআই আবদুল হাইয়ের। দীর্ঘদিন ধরে লালবাজারে পাসপোর্ট বিভাগের কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।
এক বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবদুল। জাল ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টির এনকয়ারি অফিসার ছিলেন অভিযুক্ত। সেই সুবাদে চক্রের অনেককে চিনতেন। অভিযোগ,প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে জালিয়াতিতে সাহায্য করতেন আব্দুল হাই। পাসপোর্ট পিছু প্রত্যেকের কাছে ২৫ হাজার টাকা করেও নিতেন অভিযুক্ত প্রাক্তন এসআই। সূত্রের খবর, পাসপোর্ট জালিয়াতির অন্যতম কারবারী সমরেশের সঙ্গে যোগ ছিল ধৃত আবদুলের।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ – অশোকনগর থানার পুলিশ যৌথ হানায় ধরে প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে এর আগে লালবাজারে তাকে ডাকা হয়েছিল। তলব পেয়ে তিনি গিয়েছিলেন লালবাজারে। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় চক্রের মাথাকে। আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী হামিদা বিবি দাবি করেন, তাঁর স্বামী সৎ ভাবে চাকরি করে এসেছেন, সার্ভিস বুকে কোনও লালকালির দাগ নেই। হয়তো তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মনে করছেন হামিদা বিবি। প্রতিবেশীরা বলছেন, কলকাতা পুলিশে দীর্ঘদিন কাজ করে আসা আব্দুল হাইয়ের গোপন কর্মের কেউ কোনও টের পাননি। পাসপোর্ট জালিয়াতির পান্ডাদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখতে আব্দুল হাইকে জেরা করতে তত্পর। পাসপোর্ট চক্রে আরও কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।