আন্তর্জাতিক

বিএনপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে টানাপোড়েন, খুনের ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

Tensions between BNP and anti-discrimination student movement, political heat rising over murder case

Truth Of Bengal: এক সময় একসঙ্গে ‘হাসিনা হটাও’ আন্দোলনে নামলেও এখন আর আগের মতো নেই সম্পর্ক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব স্পষ্ট হচ্ছে একের পর এক ঘটনায়। রাজনৈতিক ময়দানে এখন মুখোমুখি দুই পক্ষ। বিশেষ করে রাজধানীতে এক ছাত্র খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।

গত শনিবার ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২২) ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল)। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এটা নিছক কোনও তুচ্ছ ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে পরিকল্পনা।”

রাকিবুলের দাবি, নিহত পারভেজ ছিলেন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। ঘটনার দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গলিতে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময় মেয়েদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে গোলযোগ শুরু হয়, আর সেই সুযোগেই পারভেজের ওপর হামলা চালানো হয়।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব। তারা বলছে, ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে ছাত্রদল।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন বলেন, “এই সংগঠন এখন অভিভাবকহীন। তারা দেশে-বিদেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এমনকি খুনখারাপিতেও জড়িয়ে পড়ছে।” এদিকে, শুধু এই খুনের ঘটনাই নয়, রাজনৈতিক ময়দানে বর্তমানে দুই পক্ষ একে অপরকে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন সরাসরি ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছে। এনসিপির এক শীর্ষ নেতা নাহিদ অভিযোগ করেছেন, “প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষে কাজ করছে। এভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।” এই মন্তব্যে আরও বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। আগামী নির্বাচনের আগে এমন অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—আগামী লড়াইয়ে আসলে কে কার পাশে? আর কে কাকে প্রতিপক্ষ মানছে?

Related Articles