
The Truth of Bengal: গ্রামে কোন শ্মশান নেই। মৃতদেহ পড়ানোর জন্য যেতে হয় বহু কিলোমিটার দূরে। তাই গ্রামে শ্মশান তৈরির আর্জি নিয়ে এসে এক ব্যক্তিকে যে এমন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে তা বোধ হয় ভাবতেও পারেননি ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। বরেলির মীরাগঞ্জের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট উদিত পাওয়ারের কাছে এক ব্যক্তি শ্মশান তৈরির আর্জি নিয়ে এসেছিলেন। একবার গিয়েছেন, দুইবার গিয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। প্রশাসনের তরফেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই তৃতীয় বারের জন্য এসডিএমের কাছে আর্জি জানাতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই রেগে যায় সরকারি আধিকারিক। শাস্তি হিসাবে তিনি ওই ব্যক্তিকে হাঁটু গেড়ে ‘মুরগি’র মতো দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসডিএম অফিসার । তাঁর কথায়, ‘যখন অফিসে ঢুকি, তখন ওই ব্যক্তি ওরকমভাবেই মাটিতে বসেছিলেন। আমি জানতে চাই কেন এমনভাবে বসে রয়েছেন। এমনকী, উপস্থিত অন্যান্যদের ওই ব্যক্তিকে তুলে দাঁড় করাতে বলি।’ বিষয়টি জেলাশাসকের কাছে গড়াতেই তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে জানা যায়, ওই ঘটনায় এসডিএম–ই অভিযুক্ত। এরপরই অভিযুক্ত এসডিএমকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
শাস্তি পাওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মন্দনপুর গ্রামে কোনও শ্মশান নেই, অনেক দূর যেতে হয় আমাদের। তাই এসডিএমের কাছে একটি শ্মশান তৈরির আর্জি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি রেগে গিয়ে আমায় মুরগি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। এরপর আমায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন।’ প্রসঙ্গত , গ্রামবাসীরাও জানান ওই গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বাস। কিন্তু হিন্দুদের জন্য কোনও শ্মশান নেই। মুসলিমরা শ্মশানের জমি দখল করে নিয়েছে গোরস্থানের নামে। কিন্তু সেখানে আদতে কোনও গোরস্থান নেই।