দেশ

এবার এইচএমপিভি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের দুই শিশু, আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

Two children in Maharashtra infected with HMPV, Health Ministry warns against panic

Truth Of Bengal: মেটাপনিউমোভাইরাস ক্রমশ বংশ বিস্তার করছে ভারতে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাটের পর এবার মহারাষ্ট্রেও এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। নাগপুরে এইচএমপিভির দুই সন্দেহভাজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বয়স সাত ও ১৩ বছর বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক শশীকান্ত শম্ভরকর জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালে শিশুদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। উভয় রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এখন এই দুই সন্দেহভাজন রোগীর রিপোর্ট তদন্তের জন্য নাগপুরের এইমস-এ পাঠানো হয়েছে। ভারতে বেশ কয়েকটি এইচএমপিভই কেস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি বেঙ্গালুরু থেকে এবং একটি আহমেদাবাদ থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি কলকাতাতেও একটি শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের মতে, কলকাতার ওই শিশু দু’মাস আগেই আক্রান্ত হয়েছিল, এখন সে সুস্থ। শাপাশি তামিলনাড়ুতেও ২ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভাইরাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা প্রস্তুত, সব পদক্ষেপ নিচ্ছি, সব দিক পর্যবেক্ষণ করছি। এটি নতুন কোনও ভাইরাস নয়, ভাইরাসটি ২০০১ সালেই শনাক্ত হয়েছিল।’

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডা স্পষ্ট করেছেন যে, এইচএমপিভি বহু বছর ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি শ্বাসের মাধ্যমে, বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। শীত ও ঋতু পরিবর্তনের প্রথম মাসগুলোতে এই ভাইরাস বেশি ছড়ায়। চিনে এইচএমপিভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইসিএমআর এবং জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চিনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পাশাপাশি বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরক্টরের সভাপতিত্বে একটি যৌথ মনিটরিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নজরদারি নেটওয়ার্কগুলি সতর্ক রয়েছে। এই ভাইরাস নিয়ে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর। চিন্তার কিছু নেই। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’

Related Articles