তাহাউর রানার প্রত্যার্পণে সিলমোহর ট্রাম্পের, সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করবে ভারত-আমেরিকা
Trump approves Tahaur Rana's extradition, India-US to work together to combat terrorism

Truth Of Bengal: আমেরিকায় দু’দিনের সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তিনি বৈঠক করছেনন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্য পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যার মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতে প্রত্যার্পণের বিষয়টি। মার্কিন আদালত আগেই তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছিল। এবার মোদির সফর চলাকালীন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে সিলমোহর দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কর মানুষ রানাকে দ্রুত ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত-আমেরিকা।’ ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই মার্কিন প্রেসিডন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
মুম্বইয়ের ২৬/১১ কাণ্ড সকল ভারতীয়র মনে এখনও দগদগে ক্ষত হয়ে রয়েছে। স্বজনহারার বেদনা এখনও কাটেনি। সেই হামলার অন্যতম চক্রী কানাডার নাগরিক রানা এখন আমেরিকার জেলে। মুম্বইয়ে হওয়া ওই ভয়াবহ হামলায় ছয় মার্কিন নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৩ সালে রানাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যার্পণের আবেদনে খুনের মামলায ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছর আগস্ট মাসে মার্কিন কোর্ট অফ আপিল ফর নাইনথ সার্কিট তাহাউরের প্রত্যার্পণে সায় দেয়।
ভারতীয় সময় শুক্রবার ভোরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর তাহাউরকে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম মানুষ হিসাবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ রুখতে ভারত ও আমেরিকা অভূতপূর্ব সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করবে। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই যে, আমার সরকার ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের ভয়ঙ্করতম মানুষগুলির মধ্যে অন্যতম ওই ব্যক্তি ভারতের বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ রুখতে একে অপরকে সাহায্য করব। অন্তর্দেশীয় সন্ত্রাস রুখতে কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ। এবার সুবিচার হবে।’ রানাকে হাতে পাওয়া নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক জয় বলে মনে করা হচ্ছে।