গণেশ চতুর্থীতেই নয়া সংসদে প্রবেশ সাংসদদের, পুরনো ভবনে স্মৃতিচারণ মোদির
Parliament special session

The Truth of Bengal: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, মঙ্গলবারই নতুন সংসদভবনে শুরু হবে, বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তার আগে, সোমবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে, পুরনো সংসদ ভবনে দাঁড়িয়েই ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করলেন তিনি। তাঁর মুখে শোনা গেল নেহেরুর নাম। তাঁর মন্ত্রিসভার কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরলেন মোদি।
সেই সঙ্গে স্মৃতিচারণে জায়গা পেলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী ও মনমোহন সিং। তিনি বললেন, এই সংসদ ভবন ইতিহাসের খনি, এখান থেকেই নেওয়া হয়েছিল ভারতের অগ্রগতির নানা সিদ্ধান্ত। যা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। তাঁর কথায়, পুরনো সংসদ ভবন বহু শোকেরও সাক্ষী। যেমন, তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছিল এই সংসদ ভবন।
এদিনের অধিবেশনে বক্তব্যের শুরুতেই জি-২০ সম্মেলনের সাফল্যের কথা প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন “এটা কোনও দলের নয়, বরং দেশের সাফল্য।” চন্দ্রযানের ৩-এর ঐতিহাসিক অভিযান নিয়েও কথা বলেন তিনি। ভারতের বিজ্ঞানীদের তথা ইসরোর সমস্ত কর্মীদেরও অভিনন্দন জানান মোদি। এর পরেই সংসদের স্মৃতিচারণ করন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “নেহরুজির মধ্যরাতের ভাষণ চিরকাল আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এই হাউসেই অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু এই দেশ থাকবে।”
এদিন সংসদে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “৭৫ বছরের কথা হচ্ছে। কিন্তু আমার জ্ঞান অনুযায়ী ১৯৪৬ সালে প্রথম অধিবেশন হয়েছিল। আমি জানি না কীভাবে আপনি আজাদির ৭৫ বছর খুঁজে আনলেন। বলা হচ্ছে, আজ এই সংসদ ভবনের শেষ দিন। এই সংসদে কত জ্ঞানী-গুণী মানুষ দেশের উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণ করেছিলেন। জীবনে কত বন্ধু এল, কত বন্ধু ছিটকে গেল।
এই সংসদও আগে সচল ছিল, এখনও চলছে। আমরা সবাই আজ এই সংসদ ভবনকে বিদায় জানাতে এসেছি। কাল থেকে সবাই নতুন সংসদে বসবেন। নেহেরুজীকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাব আমরা। আমাদের দেশের ইতিহাস আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। নেহেরুজী সবসময় বিরোধীদের কথা শুনতেন, তাদের অপমান বা তাদের নিয়ে মশকরা করতেন না। উনি শুধু কঠিন সময়ে দেশকে পরিচালনা করেননি, তিনি ঐক্য-সাম্যও গঠনে সমান ভূমিকা নিয়েছিলেন।