BREAKING:পর্যালোচনা বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসদমনে পুরোমাত্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
PM directs deployment of full spectrum of counter-terror capabilities in J&K after review meeting

The Truth of Bengal: জম্মু-কাশ্মীরে কয়েকদিন আগে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়।লস্কর ই তৈবা সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে।৯জুন জম্মু-কাশ্মীরে একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। বাসে ছিলেন ৫৩জন যাত্রী।সেই হামলায় অন্ততঃ ৯জন মারা যান,যাঁদের মধ্যে ৩জন মহিলা ছিলেন।ভয়ঙ্কর হামলায় অন্ততঃ ৩৩জন জখম হন।এরপরই ভূস্বর্গে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা।
নির্বাচনের পরেই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়াস নেয়।তারপর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।সেখানে হাজির ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসদমনে সমস্তরকম পরিকাঠামো উন্নতও আধুনিক করার পাশাপাশি পুরো সন্ত্রাসদমন টিমকে হিংসা রোধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
PM spoke to HM Amit Shah and discussed the deployment of security forces and counter-terror operations. PM also spoke to J&K LG Manoj Sinha and took stock of the situation in J&K. PM was briefed on the efforts being undertaken by local administration: GoI Sources https://t.co/l8QDMlwwQ4
— ANI (@ANI) June 13, 2024
এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর মোদির নির্দেশ মেলার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।সেই আলোচনায় অংশ নেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিভাবে সন্ত্রাস দমনের কৌশল নেওয়া হবে তা এই আলোচনায় অগ্রাধিকার পায় বলেও জানা গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় জঙ্গিরা অতর্কিতে হামলা চালালে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নেয়। গুলিযুদ্ধে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়।দুই তরফের গুলি –পাল্টা গুলি এলাকাকে জনমানবশূন্য করে তোলে। সেই ঘটনায় ৫সেনা কর্মী জখম হন,একজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।এরপর মঙ্গলবার রাতেও গুলিযুদ্ধে তপ্ত হয়ে ওঠে এই ডোডা। সন্ত্রাসবাদীদের আচমকা হামলা মোকাবিলায় যৌথ বাহিনী তত্পর হওয়ায় পিছু হঠে জঙ্গিরা।কাঠুয়া জেলাতেও একইভাবে একটি চেকপয়েন্টে হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের চেকপয়েন্টে এই হামলার খবর মেলে। চেকপয়েন্টে সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেনেড হামলার জেরে আতঙ্কিত হয় এলাকা।এরপর কাশ্মীরের টাইগার এলাকাতেও জৈইশ –ই- মহম্মদের সন্ত্রাসবাদীরা এই হামলা চালায়।পরবর্তী সময়ে এই জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে নেয়। অন্যএকটি ঘটনায় দেখা যায়, সিআরপিএফের জওয়ানরা আক্রান্ত হয়। মারা যায় এক জওয়ান। একইসঙ্গে দুই সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করে জওয়ানরা। দুই সন্ত্রাসবাদীকে মারার পর এদেশের জওয়ানরা আরও আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।কাটুয়াতেও একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের গতিবিধি বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়।কারণ সেখানে একটি ঘরে ঢুকে জঙ্গিরা খোলামেলা গুলি চালাতে থাকে,এমনকি সেই ঘরের বাসিন্দাদের পণবন্দিও করে। এরপরই আহতদের কাটুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিত্সার জন্য। তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস দমনকে তাঁরা পাখির চোখ করছে বলে আভাস মিলছে।এরআগে অমিত শাহ থেকে রাজনাথ সিং প্রত্যেকেই হুঙ্কার দেন, প্রয়োজনে বালাকোটের মতো পাকিস্তানের ভিতরে গিয়ে অপারেশন চালানো হবে। তাই সন্ত্রাস দমনে ভারত সরকারের এই সংবেদনশীলতা আরও একবার স্পষ্ট হল বলা যায়।