খালিস্তানি জঙ্গিদের খুঁজতে তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র
NIA's search operation to find Khalistani extremists

Truth of Bengal: এবার পাক মদতপুষ্ট খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পঞ্জাব জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা এনআইএ। যে যে জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে,সেগুলি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের(বিকেআই) বলে জানা গিয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে, পঞ্জাবের গুরুদাসপুর, বাটালা, অমৃতসর এবং কাপুরথালার প্রায় ১৫ টি জেলায় এই তল্লাশি অভিযান চলে।
আর তাতে মোবাইল, ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি সহ বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্যাংস্টার হ্যাপি পাসিয়ানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে হয় এই অভিযান। যার যোগ রয়েছে পাকিস্তানের খলিস্তানি জঙ্গি হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দা এবং আইএসআইয়ের সঙ্গেও।বলা বাহুল্য, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গুরুদাসপুর জেলার একটি পুলিশ স্টেশনে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করে এনআইএ। যার সঙ্গে যোগ ছিল হরবিন্দর সিংয়ের। সেই থেকেই এনআইএয়ের হিটলিস্টে রয়েছে হরপ্রীত সিং। বিকেআইয়ের অন্যান্য সদস্যদের খুঁজতে শুক্রবার অভিযানে নামে তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (বিকেআই) অন্যতম শীর্ষ নেতা হরপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি পাসিয়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি পঞ্জাব ও হরিয়ানায় একাধিক গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত। বিশেষ করে, গুরুদাসপুর জেলার ঘানির বাঙ্গার থানায় হ্যান্ড গ্রেনেড হামলার ঘটনায় এনআইএ-এর তদন্তে উঠে এসেছে যে, ধৃত অভিযুক্ত শমসের সিং শেরা ও অন্যান্য সহযোগীরা হ্যাপির নির্দেশেই কাজ করছিলেন।
হ্যাপি পাসিয়া পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সেখান থেকে ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এফবিআই এবং ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের যৌথ অভিযানে তাকে স্যাক্রামেন্টো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । হ্যাপি পাসিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি গ্রেনেড হামলার অভিযোগ। তিনি পাঞ্জাবের তরুণদের অর্থ ও মাদকের লোভ দেখিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিযুক্ত করতেন ।