চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর ইসরোর মিশন চন্দ্রযান ৪
After the success of Chandrayaan 3, ISRO's mission is Chandrayaan 4

The Truth Of Bengal : ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ইতিহাস গড়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের এক বছর কাটতে না কাটতেই চাঁদের উদ্দেশ্যে পরবর্তী অভিযানের প্রস্তুতি শুরু। এবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৪ পাঠানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ২০২৮ সাল নাগাদ মহাকাশযান চন্দ্রযান-৪এর উৎক্ষেপন করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ইসরোর তরফে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়, চাঁদের বুকে যে কাজ শুরু করেছিল চন্দ্রযান-৩, সেই কাজই সম্পূর্ণ করবে চন্দ্রযান-৪।
অর্থাৎ চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের উপর নির্ভর করেই চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। ইসরোরন তরফ থেকে এই মিশনকে লুপেক্স মিশন বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। চাঁদের মাটি থেকে বেশকিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসাই এই মিশনের মূল লক্ষ্য। এই মিশন সফল হলে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহকারী হিসেবে চতুর্থ দেশের কৃতিত্ব স্থাপন করবে ভারত। ইসরো জানায়, চন্দ্রযান-৪ প্রায় সাড়ে তিনশো কেজি ওজনের একটি রোভার স্থাপন করবে। চন্দ্রযানটিকে নির্বিঘ্নে মাটিতে অবতরণ করানোর জন্য একটি ভারী ওজনের রেকটের মাধ্যমে উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তবে ইসরোর দাবি, এমন একটি জায়গায় চন্দ্রযান-৪কে অবতরণ করানো হবে, যা এখনও পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত। তবে এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। প্রসঙ্গত, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের চাঁদের পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরো। সেই মিশনকে সফল করতে চাঁদের পাথর থেকে শুরু করে চাঁদের অন্যান্য নানা নমুনা সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপনের মিশনটি সফল হলে গবেষণায় নতুন দিক খুলে য়াবে বলে মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
FREE ACCESS