পুজোর দিনে জিমে না গিয়ে বাড়িতে ‘ওয়েট ট্রেনিং’, মানুন এই জরুরি নিয়মগুলি
'Weight training' at home on Puja day instead of going to the gym, follow these essential rules

Truth Of Bengal: পুজোর সময় শরীরের যত্ন নেওয়া সব সময় সহজ নয়। অনেকেই জিমে যেতে পারছেন না কিংবা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারছেন না। কিন্তু স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং মেদ ঝরানোর জন্য বাড়িতেই হালকা ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করার ভাবনা অনেকেরই রয়েছে। তবে, বাড়িতে ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
১. ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
নিজে থেকে ওজন তুলে ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই একটি ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ভুলভাবে ওজন তুললে আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে।
২. খালি পেটে ব্যায়াম নয়
ওজন তুলতে গিয়ে শরীর আর্দ্র রাখতে খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল খাওয়াও জরুরি। শরীরচর্চার পর প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক, তা না হলে পেশির ক্লান্তি বাড়বে।
৩. সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম
কোনও একটি অঙ্গ বাদ না দিয়ে চেস্ট, ব্যাক, বাইসেপ, ট্রাইসেপ, কাঁধ ও পা— প্রতিটি অঙ্গের জন্য ব্যায়াম করতে হবে।
৪. বিশ্রামের গুরুত্ব
বেশি কার্ডিয়ো করলে ক্যালোরি পোড়ে, কিন্তু বিশ্রাম না নিলে পেশির শক্তি কমে যায়। তাই নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
৫. সপ্তাহে তিন দিন ‘ওয়েট ট্রেনিং’
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করুন। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ব্যায়াম করুন যাতে সব অঙ্গের পেশি শক্তিশালী হয়।
৬. সঠিক ওজন নির্বাচন
আপনার উচ্চতা, ওজন এবং শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ঠিক করুন কতটা ওজন তুলবেন। মহিলারা সাধারণত দেড় থেকে তিন কিলো ডাম্বেল ব্যবহার করতে পারেন। ডাম্বেল না থাকলে এক লিটারের জলের বোতলও কাজে লাগতে পারে।
৭. ধীরে ধীরে অগ্রসর হন
প্রথম সপ্তাহে ২০ মিনিটের বেশি ব্যায়াম করবেন না। অভ্যস্ত হওয়ার পর, তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে তিন দিন ৪০ মিনিট করে ব্যায়াম করতে পারেন। প্রশিক্ষক আপনাকে বুঝতে পারবেন কবে আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছেন।
এই সহজ নিয়মগুলি মেনে চললে বাড়িতে ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। পুজোর সময় খাবারের দিকে যত্ন না নেওয়ার জন্য হতাশ না হয়ে বরং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে চেষ্টা করুন।