স্বাস্থ্য

জানেন কি, শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

Different body parts that are affected by stress and anxiety

The Truth of Bengal: গতির যুগে মানুষ ছুটছে। এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কঠিন লড়াইয়ের মুখে আপামর বিশ্ববাসী। কর্মরত মানুষ সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে। তাঁদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সবথেকে বেশি। কারণ কর্মস্থলের মতোই পরিবার নিয়ে নানা ঝক্কি ও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। এই অবস্থায় অনেকেই জানেন কেউ যদি লাগাতার মানসিক ও আবেগের দিক থেকে চাপে থাকেন তাহলে তাঁর মাসুল গুণতে হতে পারে সেইসব কর্মব্যস্ত মানুষদের। চিকিত্সা শাস্ত্র বলছে,লাগাতার মানসিক চাপও টেনশনের জন্য শরীরের নানা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এখন দেখা যাক,বিভিন্ন শারিরীক বহিঃপ্রকাশের বিষয়টি। জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত চাপও উদ্বেগের ফল কীভাবে ভুগতে হচ্ছে।সাধারণভাবে এই চাপ ও টেনশন শরীরের গুরুতর জটিলতা বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মস্তিষ্কঃ মানসিক চাপের জন্য মস্তিষ্কের মূল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ মাথার মধ্যেই সমস্ত চাপ গিয়ে ধাক্কা মারে।কারণ ধারাবাহিক মানসিক চাপের জন্য করটিসল,অ্যাডেনালিনের মতো হরমোন নির্গত হতে পারে। এইসব হরমোনের জন্য শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখে দিতে পারে।

এই ধরণের মানসিক চাপ ধারাবাহিকভাবে নিতে থাকলে তা অশনিসঙ্কেত বয়ে আনতে পারে।মনের মধ্যে হতাশা,স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা শারীরিক সুস্থিতি নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা বাড়তে পারে।দীর্ঘমেয়াদি চাপ  শরীরের ৭টি অংশকে দারুণভাবে ধাক্কা দিতে পারে।যারজন্য মানসিক অস্থির অবস্থার জন্য সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারে সাধারণ মানুষ।

 হৃদস্পন্দনঃ মানসিক চাপে হার্ট বিট বেড়ে যাবে

শুধু মনের অবস্থার অবনতি নয়,হার্টেরও ক্ষতি হতে পারে এই ধারাবাহিক মানসিক চাপের জন্য।হার্টের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে পারে।রক্তচাপ বাড়লে হার্টের রক্ত চলাচল ঠিক হয় না।তখন হার্টের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়।এভাবে যদি আপনি দীর্ঘদিন এই মানসিক চাপ নিতে থাকেন তাহলে হাইপার টেনশন,হার্টের রোগ বা আরহিথমিয়াসের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে,দীর্ঘদিন মানসিক চাপ নিতে নিতে যে কেউ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।চিকিত্সকরা বলেন,হার্টের সঙ্গে রক্ত চলাচলের ওতোপ্রতো সম্পর্ক।তাই মানসিক চাপ কমানোর সবার আগে চেষ্টা করন।

 হজম শক্তি  ক্ষতিগ্রস্ত হয়ঃ অস্বস্তি বোধ হতে পারে

হজম শক্তি মানুষের বড় প্রয়োজনীয় বিষয়।অতিরিক্ত চাপ বা উদ্বেগ এই হজম শক্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।মস্তিষ্কের সঙ্গে হজম শক্তি জড়িত। দুটোর মধ্যে যোগাযোগ এতটাই ঘনিষ্ঠ যার জন্য শরীরের স্বাভাবিক গতির ছন্দপতন ঘটাতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য বিরক্তিকর পেটের রোগ বাড়তে পারে। এই অবস্থায় শরীর বাঁচাতে মানসিক চাপ নেবেন না।তাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে আপনার সুবিধা হবে ।প্রয়োজনে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।জীবনের লড়াই জারি রাখলেও মানসিক দিক থেকে একটু শিথিল থাকার প্রয়াস নেবেন।