মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টা ও ‘বঙ্গে বসতে লক্ষ্মী’

Truth Of Bengal: ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ হয়ে উঠুক ‘বঙ্গে বসতে লক্ষ্মী’— এই ভাবনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ আজ দেশ-বিদেশের শিল্প মহলে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। রাজ্যের জন্য, রাজ্যের মানুষের জন্য শিল্প মহলের কাছে থেকে বিনিয়োগ আনার মহাযজ্ঞ চালিয়ে আসছেন তিনি। চলতি বছরে রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ২০টি পার্টনার কান্ট্রির মধ্যে অন্যতম ছিল ব্রিটেন। রাজ্যে সেই বাণিজ্য সম্মেলনের পর ব্রিটেনে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য সম্পর্ক পোক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হয় বৈঠক। বর্তমানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ থেকে পরিকাঠামোর লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে বাংলায়। দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণ করতে সিনার্জি কমিটি গঠন-সহ একগুচ্ছ বিষয় ব্রিটেনের শিল্পপতিদের সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বিলেতে বাংলার ইতিবাচক শিল্পবান্ধব দিক তুলে ধরে শিল্পপতিদের কাছে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিল্পপতিদের কাছে আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, বাংলায় বিনিয়োগ করতে এলে জয়ী হবেন। লন্ডনের শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কন্যাশ্রী থেকে শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, একের পর এক সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তাও দেন মমতা। রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী মুখে। তুলে ধরেন কেন, বাংলা আজ দেশের মধ্যে অন্যতম শিল্পবান্ধব রাজ্য। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্প মানচিত্র বদলে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে বিনিয়োগ এনে কর্মসংস্থানের দিশা খুলে দেওয়ার জন্য এর আগে একাধিক বিদেশ সফরও করেছেন তিনি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রী একই উদ্যোমে বিনিয়োগ টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরে রাজ্যে বিরাট বাণিজ্য সম্মেলনের পর ব্রিটেন সফর থেকে বাংলার জন্য বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বর্তমান এই শিল্পবান্ধব পরিবেশ নিয়ে ওয়াকিবহাল বিদেশি শিল্পপতিরা।

ইউকেআইবিসি-র চেয়ারম্যান রিচার্ড হেল্ড তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের তুলনায় বাংলার উন্নয়নের হার বেশি। ব্যবসার ডিজিটালাইজেশন, লালফিতের ফাঁস আলগা করে রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রশংসা করেন রিচার্ড হেল্ড। জানান, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কৃত্রিম মেধা এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগে বিশেষ আগ্রহী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা। রাজ্যে বিনিয়োগ আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই যে চেষ্টা, তাতে যে আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই তা উঠে আসছে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের কথায়