
জয়দেব দেবাংশী: ‘মম ঘুমঘোরে এলে হে মনোহর, নমো নমো, নমো নারায়ণ’। দিন যায় রাত্রি আসে, সারাদিনের মানব জীবনের ক্লান্তির অবসান ঘটাতে এবং দেহ মনকে পরের দিনের, জীবনযাত্রার সংগ্রামের জন্য তৈরি রাখতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুমের খুবই প্রয়োজন হয়। তবে যদি দেহ-মন সুস্থ সুন্দর থাকে তবেই তো ঘুম আসবে। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের বিভিন্ন সমস্যাগুলি রাতে শোওয়ার সময় জ্বালাতন করে দেহ মনকে, যার ফলে ঘুম আসতে চায় না, পরদিন সকালে ঘুম ঘোরে মনোহরের নামের পরিবর্তে, ঘুমের ঘোরে এক অজানা কষ্ট আঁকড়ে দিন পার করতে হয়। তবুও ১৭ মার্চ ঘুম দিবস তো পালিত হল, যদি আগামী বছর থেকে ঘুম আসে।
আবার ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালিত হল। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ওয়েল বিহন রিসার্চ সেন্টার, গ্যাল আপ নামের একটি গবেষণা সংস্থা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক, তাদের সমীক্ষায় বেশ কিছু মানব জীবনের তথ্য নিয়ে আলোকপাত করেছেন সুখে থাকার বিষয়ে।
যেমন স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক যোগাযোগ, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খবর জানা, এক সঙ্গে থাকা, একসঙ্গে বসে খাওয়া, বিপদে পারস্পরিক বিষয়ের সাহায্য ইত্যাদি নিয়ে। উক্ত সমীক্ষায় ১৪৭টি দেশের মধ্যে প্রথমে ফিনল্যান্ড, তারপর ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, একেবারেই নিচের দিকে আছে আফগানিস্তান, সিয়েরা লিওন, লেবানন। সুখের আঙিনায় ১১৮ নম্বরে অবস্থান করছে ভারত। তাই সুখেরও লাগি ঘর আর সবার বাঁধা হচ্ছে না, দুঃখের যন্ত্রণায়।