টাকার অভাবে নিলামে গির্জা ! দেশে বাড়ছে নাস্তিকের সংখ্যা
Lack of money auction church! The number of atheists is increasing in the country

The Truth Of Bengal: স্কটল্যান্ডে নিলামে উঠলো কয়েকশো গির্জা । যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গির্জা প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের অধীনে এখন প্রায় ৪ হাজার গির্জা রয়েছে। সূত্রের খবর, টাকার অভাবে রোজকার কাজকর্ম আর চালাতে পারছে না ঐতিহাসিক প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ অফ স্কটল্যান্ড। কার্যত গির্জা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কি কারণে আর্থিক সঙ্কট, সে বিষয়ে খোঁজ নিলে জানা যায়, ওই দেশের সাম্প্রতিক সেন্সাস রিপোর্ট মতে, প্রায় ৫২ শতাংশ স্কটিশ নাগরিক এখন নাস্তিক। ২০১১ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ নাস্তিকের সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে স্কটল্যান্ডে।
জানা যাচ্ছে, বহু ইতিহাসের সাক্ষী এরকম সব চার্চই এবার আর্থিক সঙ্কটে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই , গির্জা বিক্রির নোটিস প্রকাশ্যে এনেছেন গির্জা কর্তৃপক্ষ। এর একটাই কারণ গির্জায় আসছেন না ভক্তরা। কারণ নাস্তিকের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে । কার্যত গির্জায় কোনপ্রকার অর্থসাহায্য আসছে না । থেমে যাচ্ছে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। গির্জা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় , গত ২ দশকে প্রিস্টের সংখ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । কয়েকশো গির্জা বিক্রি করে পুরোনো কয়েকটি গির্জা সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত , প্রেসবিটেরিয়ানদের সঙ্গে ভ্যাটিকানের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রেসবিটেরিয়ানরা হলেন প্রোটেস্ট্যান্টদের একটা শাখা। । ক্যাথলিক চার্চের মতো প্রেসবিটেরিয়ান চার্চে কোনও আর্চবিশপ থাকেন না। কারণ, প্রেসবিটেরিয়ানরা ক্যাথলিক Hierarchy-তে বিশ্বাস করেন না। গির্জার যাবতীয় কাজ চলে কাউন্সিলের অধীনে।১৫৬০ সালে প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মার জন নক্স স্কটল্যান্ডে প্রথম প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ স্থাপন করেন। গির্জার সংখ্যা বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। কার্যত তৈরি হয় চার্চ অফ স্কটল্যান্ড নামে একটা বৃহত্ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তবে তা এখন ধ্বংসের পথে ।