Big Breaking : সন্দেশখালির মাম্পি ওরফে পিয়ালী দাসকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট
Big Breaking: Calcutta High Court granted bail to Sandeshkhali Mampi alias Piyali Das

The Truth Of Bengal : সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ওরফে পিয়ালী দাসকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বসিরহাট আদালতে আগাম জামিন নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাম্পি। এই গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন মাম্পি ওরফে পিয়ালী। শুক্রবার এগিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দীর্ঘ শুনানি হয়। তার বাড়িতে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সেখানে জামিনযোগ্য ধারা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু যখন আদালতে আগাম জামিন নিতে যায় তখন জামিন অযোগ্য ধারা হয়ে যায় কী করে এই প্রশ্ন ওঠে? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এ জেলাশাসে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয় শুক্রবার। বসিরহাট আদালতে গ্রেপ্তারের নির্দেশ বাতিল হয়ে যায়। জামিন মনজুর হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পুলিশ সুপারের নজরদারিতে এই তদন্ত চলবে। ঘুরিয়ে এই মামলা একপ্রকার কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে হতে চলেছে। নতুন ধারা কেন যোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। এই পিয়ালী দাস এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সন্দেশখালীর অনেক মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে দেন। তারপর তাদের দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করানো হয় ধর্ষণের।
এই নিয়ে সন্দেশখালির মহিলারা পিয়ালীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। সন্দেশখালীর আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিল ইতিহাস । পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন এর সামনে সাদা কাগজের সই করিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয় ভয় দেখানো হয় বলেও সন্দেশখালির অনেক মহিলা অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ নোটিশ জারি করে পিয়ালির বাড়িতে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরে বসিরহাট আদালতে আগাম জামিন নিতে গেলে গ্রেফতার হন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফের উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালি রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ পিয়ালির মতো বিজেপি নেত্রীরা সেখানকার মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। মহিলাদের সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে। বাংলার বদনাম করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ সন্দেশখালির সাজানো ঘটনা এমনিতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে ভাইরাল ভিডিওয়। এখন বিজেপির মুখ লুকানোর অবস্থা। সেখানকার মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করিয়া আসলে বাংলাকে বদনাম করা হয়েছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করেছে।