ভ্রমণ

ঝাড়গ্রামের অফবিট জায়গা ‘সাদা পাহাড়’-কে নয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

State government's initiative to develop 'Sada Pahar', an offbeat place in Jhargram, as a new tourist destination

Truth Of Bengal: উত্তর হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গ, গোটা বাংলাকে প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়েছে। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যে পর্যটনের নানান প্রসার ঘটিয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে চিরপরিচিত পর্যটন স্থানের পাশাপাশি অফবিট পর্যটন স্থানও আজ পর্যটন মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে। জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম আজ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

একটা সময় মাওবাদী উপদ্রবের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও ঝাড়গ্রামের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত। বেড়ানোর কথা কেউ ভাবতেও পারত না। কিন্তু এখন সময় পাল্টে গেছে। উন্নয়নের প্রসার ঘটেছে। ঝাড়গ্রামের পর্যটন শিল্প যাতে আরও প্রসারিত হয় তার নানান উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, গ্রামের বাসিন্দারাও নিজেদের বাড়িতে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে হোম স্টে’র বন্দোবস্ত করেছে। তাই জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামে এখন প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসে। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির অফবিট পর্যটন কেন্দ্র “সাদা পাহাড়” কে নয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এরকম সাদা রঙের পাথর আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। তাই সাদা রঙের পাথরের থেকেই জায়গার নাম হয়েছে সাদা পাহাড়। সাদা পাহাড়ে যাওয়া সহজ। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বেলপাহাড়ি, সেখান থেকে কাঁকড়াঝোড়। এখান থেকে ৭-৮ কিলোমিটার গেলেই পড়বে বোদাডিহি গ্রাম। এই গ্রামে গেলেই সাদা পাহাড়ের খোঁজ মিলবে। বন জঙ্গলের আড়ালে অনেক দিন এই সাদা পাহাড় লুকিয়ে ছিল বলে কারোর নজরে পড়েনি। প্রচারের আলো পড়েনি বলে পর্যটকরাও জানতেন না সাদা পাহাড়ের কথা। এই পাহাড়ে দেখা মেলে নানান আকৃতির সাদা রঙের পাথরের। বুঝতে অসুবিধা হয় না জায়গার নামের সার্থকতা। গাছগাছালির ছাওয়া ঘেরা বলে জায়গায় বছরভর মনোরম আবহাওয়া থাকে। সাদা রঙের পাথর সারা বছর ঠান্ডা থাকে। তাই গরমেও এজায়গায় আসলে প্রাণ জুড়োবে। স্থানীয় বাসিন্দারা সাদা পাহাড়কে ডাকেন ‘চেতন ডুংরি’ নামে।

সাদা পাহাড়কে কেন্দ্র করে পর্যটনের প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে পথশ্রী-৩ প্রকল্পের আওতায় ১২,১২৮ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি ও মেরামতে উদ্যোগী হয়। এরমধ্যে ১০,১০২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে। রাস্তা সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকরা খুব সহজে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে নানান পর্যটন স্থানে পৌঁছে যেতে পারবেন বলে আশা রাজ্য প্রশাসনের।

Related Articles