কলকাতা

“সন্তানদের ভরণপোষণ করতে পারে না!” বিস্ফোরক দিলীপ

"Can't support the children?" Explosive Dilip

Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় জম্মু ও কাশ্মীরের দুই জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে মোট ৬ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। সেনা, পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে নিহতদের মধ্যে অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি শহীদ কুট্টি, যিনি অতীতে এক জার্মান পর্যটকের উপর হামলা সহ একাধিক বড় নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, নিহতদের মধ্যে তিনজন জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শহীদ কুট্টি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মামলা রয়েছে। এর মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গুজরাটের ভূজ এয়ারবেস পরিদর্শনে যান। এর আগে তিনি শ্রীনগরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ও নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।

রাজনাথ সিং স্পষ্ট বার্তায় বলেন, “অপারেশন সিঁদুর” এখনও শেষ হয়নি, এটা কেবল ট্রেলার, পুরো চিত্র সামনে আসবে সময় মতো।” তাঁর বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলেও। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “মোদী আগেই বলেছেন ঘরে ঢুকে মারব। সেনা তো এখন বলছে বাথরুমে ঢুকে মারব। কারণ ওরা ভয়ে বাথরুমে লুকিয়ে পড়ে। পাকিস্তান ও তার মদতদাতারা স্তব্ধ।”
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার ধাক্কা খেয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অগাস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, “যে সরকার নিজের কর্মীদের বকেয়া মেটাতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।”
অন্যদিকে, বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জের কড়া সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যেদিন ওরা প্রথম শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছিল, সেদিন কে প্রথম লাথি মেরেছিল? শিক্ষকদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার বদলে লাথি মারা হচ্ছে! এটা সহ্য করা হবে না।”
বিকাশ ভবনে আন্দোলন চলাকালীন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতির অভিযোগ নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “উনি হয়তো কাউন্সিলর, তাই বলে যা খুশি করবেন? সাংবাদিকদের সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন, তাতেই তাঁর মানসিকতা স্পষ্ট।”

তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল, বিশেষ করে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “কে সভাপতি, সেটা সবাই জানে। মমতা নিজে সব দেখতে চাইলেও বাস্তবে কী হচ্ছে, তা রাজ্যের মানুষ ভালো করেই দেখছেন।” এইসব ঘটনাপ্রবাহ রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে উত্তাপ বাড়াচ্ছে, যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক নতুন সুর বয়ে আনছে।

Related Articles