ভোগান্তির চায় না নির্যাতিতার পরিবার, বনধের নামে স্পর্ধা দেখায় বাহুবলীরা
The victim's family does not want to suffer

Truth of Bengal: পুজোর মুখে শিল্পী, কারিগর থেকে ব্যবসায়ীরা যখন রোজগারের আশায় বুক বাঁধছে, তখন বনধ ডেকে বিজেপি তাঁদের সমস্যায় ফেলে। তাই রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের চেষ্টায় জল ঢেলে দেন। ট্রেন অবরোধ, বাস ভাঙচুর করা হলেও মানুষ কর্মস্থলে পৌঁছায় বিকল্প পথে। যারজন্য নবান্ন সহ সমস্ত সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় ৯৫শতাংশের ওপর হাজিরা দেখা যায়। কোচবিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়ায় বনধ সফল করতে নামা বিজেপি কর্মীরা হতাশ হয়ে ভাঙচুর চালায়। বাংলা আবারও কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করার রাজনীতিকে যে বেলাইন করল তা বলাই যায়।
বিজেপির রাজনীতি না পসন্দ নির্যাতিতা চিকিত্সকের পরিবারের। কন্যাহারা মা-বাবা বুকে বেদনা নিয়ে জানিয়ে দেন,তাঁরা গুলি-বন্দুকের সংস্কৃতির আমদানি চান না। তাঁরা চান না মানুষের কোনও দুর্ভোগ।তবু দেখা যায়,বনধের নামে বিজেপির ক্যাডার থেকে কর্মী,সবাই কোমর বেঁধে নামে। কেউ হাত জোড় করে বনধ করার আবেদন করে,কেউ আবার চোখ রাঙিয়ে বুঝে নেওয়ার হুঙ্কার ছোড়ে। সেই হুঙ্কার কলকাতা থেকে কোচবিহার,মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ সর্বত্র শোনা যায়। বাংলাকে অশান্তির আঁতুরঘর তৈরি করার চেষ্টা করে বিজেপি,এই অভিযোগও জোরদার করল বিরোধীরা।
মর্মান্তিক খুন আর নির্যাতনের নেপথ্যে যাঁরা তাঁদের ফাঁসি কাঠে ঝোলানোর দাবি ছেড়ে বিজেপি শুধুই দখলদারি আর দাদাগিরির খুল্লমখুল্লা রাজনীতি করল বলে বাংলার নাগরিকমহলের মতোই দাবি তৃণমূলের। কোচবিহারে দেখা যায় বাস ভাঙচুর করে বনধ সমর্থনকারীরা, মুর্শিদাবাদ স্টেশনে গেরুয়া বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজে যোগ দিতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর। কাজ দিতে না পারলেও কাজের দিন নষ্ট করে তাঁরা বাহুবলী সংস্কৃতির ধারক-বাহক হয়ে ওঠে। পুরাতন মালদায় ঝাণ্ডাধারী বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।বপেরোয়াভাবে ঠেলেঠেলি ধ্বস্তাধ্বস্তি করার ছবি বাংলা জাগোর ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
কোচবিহারে আবার বারবার বলা সত্ত্বেও বাস চালকরা কথা শোনেনি। বাস চালাকদের চমকায় বনধ সমর্থকরা। বাস ভাঙচুর তাণ্ডবের মতো কাণ্ড করে। হুগলিতে বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে সামিল হয় বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনে সাড়ে আটটা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। দুটি লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ট্রেন। প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। যার ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অফিস টাইমে রেল অবরোধ হওয়ার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।যে দোকানদারদের দোকান না খুললে পেট চলে না। রোজগারের ঝুলি ভরে না তাঁদের দোকান গায়ের জোরে বন্ধ করে দিতে দেখা যায়,হাওড়া,হুগলির বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরবঙ্গের মালদা, কোচবিহারের মতোই জলপাইগুড়িতেও জবরদস্তি বনধ সফল করতে নামে বিজেপি কর্মীরা। তবুও সেখানে
বনধের সেভাবে প্রভাব পড়েনি। বেসরকারি বাস কম চললেও সরকারি বাস পর্যাপ্ত চলে সব জেলাতেই। বনধ সমর্থকদের সেভাবে রাস্তায় দেখা যায়নি, গ্ৰামীণ ও শহরতলি এলাকার দোকানপাট খোলা ছিল। সরকারি অফিসের মতোই বেসরকারি অফিসেও উপস্থিতির হার যথেষ্ট বেশি ছিল। ফলে স্পষ্ট হয় কর্মসংস্কৃতি বজায় রাখতে বাংলার মানুষ আগ্রহী। নির্যাতিতার পরিবারের মতোই তাঁরাও চান বিচার হোক, ধর্ষকরা কঠোর সাজা পাক, কিন্তু মানুষের ভোগান্তি যেন না হয়।