গঙ্গাসাগরে সেতু নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়ে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার
The state government has given permission to purchase land for the construction of a bridge over the Gangesagar

Truth Of Bengal : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তীর্থ পর্যটনের পথ মসৃণ করতে ৬ফেব্রুয়ারি নতুন সেতু তৈরির উদ্যোগ শুরু হবে।কাকদ্বীপ থেকে গঙ্গাসাগরের যোগাযোগের সুবিধা করে দিতে গড়ে তোলা হবে ৪,৭৫৭মিটার লম্বা সেতু।এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৫৯কোটি ৬২লক্ষ টাকা।বিশ্বমাণের তীর্থকেন্দ্র গঙ্গাসাগরে সুবিস্তৃত রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
দুদিকে গাড়ি চলাচলের জন্য থাকবে ৮মিটার চওড়া রাস্তা.ফুটপাত গড়া হবে ১.৫ মিটার চওড়া।সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ৪বছরের প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে জানান। কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া না দেওয়ায় রাজ্যই বিশ্বমাণের তীর্থপর্যটনের দুয়ার খুলতে উদ্যোগী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরের তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য নতুন সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন।তাঁর ঠিক করে দেওয়া রোডম্যাপ মেনেই মুড়িগঙ্গা নদীর উপর তৈরি করা হবে নয়া সেতু। যার নাম হবে
‘গঙ্গাসাগর সেতু’। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪ লেনের সেতু একদিকে কাকদ্বীপ আর অন্যদিকে কচুবেড়িয়াকে যুক্ত করবে। সেতুর দু’পাশেই থাকবে ফুটপাতও। আগামী ৪ বছরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। সেতু নির্মাণে রাজ্যকে প্রায় ১২.৯৭ একর জমি কিনতে হচ্ছে। কাকদ্বীপ অংশে ৭.৯৫ একর জমি কিনতে হচ্ছে এবং কচুবেড়িয়া অংশে ৫.০১ একর জমি ক্রয় করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে সময় বেঁধে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতেই যে বাংলার সরকারের এই বাস্তবমুখী ভাবনা তা বলাই যায়।সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, বঙ্গের প্রান্তিক পবিত্রভূমির যোগাযোগের বিকাশে জোর দেন।
গঙ্গাসাগর থেকে কাকদ্বীপ যেতে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা নদী পথের ভেসেলই অপেক্ষা করতে হতো তাও জল থাকলে ,যাওয়া যায়।আর জল না থাকলে ঘন্টার পর ঘন্টা পারাপার বন্ধ থাকে। সাধারণযাত্রী থেকে তীর্থযাত্রী সবাইকেই পড়তে হয় মহা সমস্যায়। সেই সমস্যার কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অর্থ ব্যয় করে এই সেতু গড়ার উদ্যোগ নেওয়ায় সবমহলই বেশ খুশি।