Mangrove: সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখতে একযোগে ম্যানগ্রোভ অভিযান প্রশাসনের
গরান, গেওয়া, কেওড়া, সুন্দরী-র মতো গাছেরা বুক দিয়ে আগলে রাখে ঐতিহ্যবাহী দ্বীপকে।
Truth of Bengal: সুন্দরবনের নদীমাতৃক সভ্যতা বাঁচানোর স্বার্থে ম্যানগ্রোভ রোপনের কাজে নেমেছে প্রশাসন। পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বনদফতর (নামখানা রেঞ্জ) ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাগর থানার যৌথ উদ্যোগে গঙ্গাসাগরের বামন খালি এম.পি.পি, উচ্চ বিদ্যালয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বলা যায়, ম্যানগ্রোভ হল সুন্দরবনের সেফটি ভাল্ব।
ঘূর্ণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস,ভূমিক্ষয়ের হাত থেকে এই দ্বীপ অঞ্চলকে রক্ষা করে ম্যানগ্রোভ। গরান, গেওয়া, কেওড়া, সুন্দরী-র মতো গাছেরা বুক দিয়ে আগলে রাখে ঐতিহ্যবাহী দ্বীপকে। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা মাখায় রেখে, প্রশাসন সুন্দরবনের আরও ২৬৫হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবুজায়নের মিশন পূরণ করতে স্কুলের কচিকাঁচাদেরও যুক্ত করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কর্মসূচি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। তাই গণউদ্যোগে বৃক্ষ রোপনের কাজ গতি পেয়েছে।পাশাপাশি প্রশাসন এই কাজে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে চারা কেনা থেকে শুরু করে যাঁরা গাছ লাগাবেন, তাঁদের মজুরি ধরা রয়েছে।সু্ন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, এই সুন্দরবনকে সবুজ দ্বীপে পরিণত করার কাজে নেমেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন ,প্রশাসনিক উদ্যোগে বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে।সেইমতো প্রশাসনের দাবি, ২০কোটির কাছে ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছে।আরও বেশি গাছ লাগানোর কাজে নামতে চায় প্রশাসন। রামগঙ্গা রেঞ্জে ৫০ হেক্টর, নামখানা রেঞ্জে ৮০ হেক্টর এবং রায়দিঘি রেঞ্জে ১৩৫ হেক্টর জমিতে চারা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুন্দরী, গরান, গেও , কেওড়া, এই প্রভৃতি গাছ লাগানো হয়েছে।আশা করা হচ্ছে,নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার এই গণ-উদ্যোগে গাছের সুরক্ষা বলয় সুন্দরবনের সাগর দ্বীপকে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।পুলিশ কর্মীরা এই সবুজ দ্বীপ গড়ার কাজে যুক্ত করছে স্কুলগুলোকে।ম্যানগ্রোভ চারা গাছ লাগানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান,বাঁচান বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম দ্বীপ সুন্দরবনকে।




