গাছে গাছে ঝুলছে জলপাত্র, পাখিদের জল তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এল পক্ষীপ্রেমীরা
Some bird lovers from Siliguri came forward to quench the thirst of birds

The Truth of Bengal: প্রচণ্ড গরমে দ্রুত নামছে জলস্তর। প্রবল গরমে বাড়ছে জলের চাহিদা। মানুষের মতোই প্রাণীরাও গলা ভেজানোর জন্য জল পাচ্ছে না। কারণ পুকুর-নদী-নালা শুকিয়ে কাঠ। পাখিদের জল তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এল শিলিগুড়ির কিছু পক্ষীপ্রেমী। স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে গাছে গাছে লাগানো হল জলের পাত্র। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই মানবিক প্রয়াস সবমহলের প্রশংসা আদায় করে নিচ্ছে।
শৈলশহর দার্জিলিংয়ে শীতল আবহাওয়া বজায় থাকলেও শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি।বুধবার তাপমাত্রা ছুঁয়ে যায় ৩৬ডিগ্রির কাছে। প্রবল গরম আর অস্বস্তিতে কার্যতঃ সাধারণ মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। মানুষের মতোই প্রাণীরাও জলকষ্টে ভুগছে।এমনিতে কংক্রিটের শহরে সবুজের স্নিগ্ধ ছায়া কমেছে। গাছের সংখ্যা কমায় নীড় বাঁধা রীতিমতো অসুবিধার হয়ে পড়েছে পাখিদের।জলাশয় কমায় বা সবুজ ফিকে হয়ে যাওয়ায় জল তেষ্টা মেটানো এখন পাখিদের মহা সংকট।তাই মুক্ত আকাশে যাতে পাখিরা খুশিতে ডানা মেলতে পারে সেজন্য তাঁদের জীবন রক্ষা করার মিশন নিল উত্তরবঙ্গের পক্ষীপ্রেমীরা।তাঁরা এবার গাছে গাছে জলপাত্র বেঁধে দিল।যেখানে পাখিরা শান্তিতে জলপান করতে পারবে।
প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষের অবস্থা নাজেহাল সেখানে পাখিদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ শিলিগুড়িতে প্রথম। কি করে এই ভাবনা এল জিজ্ঞেস করতেই পক্ষীপ্রেমীরা বলেন,”পাখিদের সংখ্যা এমনিতেই দিন দিন কমে যাচ্ছে। কোভিড চলাকালীন যখন যানবাহন, কারখানা বন্ধ ছিল তখন আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। পাখির ঝাঁক দেখা যেত শহরে। এখন দূষণের কারণে পাখিদের সংখ্যা কমে গেছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতে পাখিদের জন্য এই আপাতত ১০টি গাছে আমরা জলের পাত্র লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আগামীতে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পক্ষপ্রেমীরা আশ্বস্ত করেছেন।আশা করা যায়,আগামীদিনে এই উদ্যোগ অন্যজায়গাতেও নেওয়া হবে।বিশ্বজিত সরকারের রিপোর্ট।