অফবিটরাজ্যের খবর

ইলিশ ছাড়াই ফিরে আসছে ট্রলার, কারণ জানলে আপনিও হতাশ হবেন!

Fishermans can't catch Hilsa Fish

Story Highlights
  • ইলিশ মাছ
  • মৎস্যজীবী

The Truth of Bengal: দু’মাস নিষেধাজ্ঞার পর পাড়ি দিয়েছিল সমুদ্রে। ট্রলার ঘাটে ফিরলেও সেই ভাবে দেখা মিলল না ইলিশের। তবে মৎস্যজীবীরা মনে করছেন, বৃষ্টির পরিবেশ না থাকার কারণেই মরশুমের প্রথম ইলিশ মিলল না। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি হলে অবশ্যই জালে উঠবে রুপোলি শস্য ইলিশ। শুরুতে ক্ষতি হলেও পরে সেই আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন মৎস্যজীবীরা।

প্রজননের জন্য দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে সমুদ্রে। এই সময় মৎস্যজীবীরা ট্রলার ও জাল সারিয়ে প্রস্তুত হন। অপেক্ষা করেন সমুদ্রের বুকে থেকে ইলিশ ধরে আনার। গত ১৫ জুন উঠে যায় ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। আগে থেকে প্রস্তুত থাকা মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিতে থাকেন। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে হাজার হাজার ট্রলার ইলিশের খোঁজে পাড়ি দিতে শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যারা পাড়ি দিয়েছিল, সেই ট্রলারগুলির কয়েকটি ফিরে এসেছে। এফবি দুর্গা, এফবি মহামায়া নামে ট্রলারগুলি আপাতত ফিরেছে। তবে তেমন ইলিশ আনতে পারেনি। ছোট সাইজের সামান্য কয়েকটি ইলিশ ধরা পড়েছে। ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে। মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে অন্য নানা মাছ।

বঙ্গে বর্ষা কিছুটা দেরিতে প্রবেশ করার কারণে এখন সেই ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। তাই ইলিশ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলি ফিরছে খালি হাতে। তবে আগামীদিনে পরিস্থিতি বদল হবে বলে বিশ্বাস মৎস্যজীবী ছাড়াও ট্রালার মালিকদের। বহু আয়োজন করে প্রতিবছর সমুদ্রে পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। গত কয়েক বছর তেমন ইলিশ পাননি মৎস্যজীবীরা। সমুদ্র থেকে তাদের কার্যত ইলিশ ছাড়াই ফিরতে হয়েছিল। যার জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকরা। আগের সেই ক্ষতি এবছর পূরণ করতে সমুদ্রে পাড়ি দিতে চলেছেন মৎস্যজীবীরা।

Related Articles