রাজ্যের খবর

মুড়িগঙ্গার উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মূল ভূখণ্ডের সাথে জুড়বে পবিত্র গঙ্গাসাগর

Preparations are in full swing for the construction of a bridge over the Muriganga

The Truth of Bengal: সেতুপথে গঙ্গাসাগরকে জোরার কথা বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই সেতু নির্মাণের প্রস্তুতিতে প্রশাসন। এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা। নির্মাণে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ বছর জানালো পূর্ত দফতর। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে চলেছে গঙ্গাসাগর। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরি করবে সরকার বাজেটে এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সাধারণ নির্বাচন মিটতেই সেই ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করে দিল প্রশাসন। নদীর কোন অংশ দিয়ে সেতু যাবে কিভাবে সেতু তৈরির কাজ করবে সে সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই সারা হয়ে গেছে। পূর্ত দপ্তর সূত্রের খবর সেতু তৈরিতে সময় লাগতে পারে চার থেকে পাঁচ বছর।

তেতু নির্মাণের কাজ চলাকালীন ন ভেসেল পরিষেবা যাতে কোনভাবে বিঘ্ন না ঘটে তা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এবার সেই এলাকা ঘুরে দেখলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর বিদ্যুতের টাওয়ারগুলি সমান্তরালের সেতু নির্মাণ করা হবে। লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত বিদ্যুতের টাওয়ারগুলি নির্দিষ্ট পথে বসানো হয়েছে বহু বছর আগে। যে কারণে ওই পথে সেতু নির্মাণ করলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না সময় ও খরচ দুই সাশ্রয় হবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৭.৭৬ কিলোমিটার। নদীর দুইপারেই অপ্রচ রোড তৈরিতে ১২ একর জমি প্রয়োজন। সেই জমি কিনবে সরকার। তার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে। যেহেতু মুড়িগঙ্গা দিয়ে জাহাজ চলাচল করে সেই কথা মাথায় রেখে নদীর জলস্তর থেকে ১২ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতায় সেতুটি তৈরি করা হবে বলেই সরকারি সূত্রে খবর।

কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর দাচি তৈরি হবে নতুন সেতুটি। গাডারের মাধ্যমে সেতুর কাঠামোর শক্তি ক্ষমতা বাড়ানো হবে। নদীর উপরে সেতুর দুটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব থাকবে দেড়শ মিটার। এই সেতুটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে সমীক্ষা চালানোর পর সেই খরচ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায়। পুরো খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারের কোষাগার। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে সেই প্রস্তুতি। সূত্রের খবর পুজোর আগেই সেতুর শিলান্যাস করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই সেতু নির্মাণের ফলে সুন্দরবনের সঙ্গে সড়ক পথের যোগাযোগ আরো সুগম হবে একই সঙ্গে কলকাতা থেকে গাড়ি করে সরাসরি পৌঁছানো যাবে কপিল মুনির আশ্রমে। যার ফলে গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থী অনায়াসে পৌঁছে যাবেন গঙ্গাসাগরে।

Related Articles