
The Truth of Bengal: এক সময় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে অন্য জায়গায় কাজ করতেন। বাড়ি ছেড়ে থাকতে ভাল লাগতো না। সব সময় ভাবতেন নিজের এলাকায় কিছু করার। মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে আজ কারখানার মালিক। আজ সেই কারখানায় কাজ করছে গ্রামের ছেলেরা। যারা এক সময় কাজের জন্য অন্য রাজ্যে থাকতেন। নিজের পরিযায়ী তকমা ঘোচানোর পাশাপাশি এলাকার যুবকদের কাজের ব্যবস্থা করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভাণ্ডার অঞ্চলের বিশ্বনাথপুরের যুবক ফসিউর রহমান। তাঁর পোশাক কারখানায় এখন ১০ জন স্থায়ী কর্মী কাজ করেন, যারা একটা সময় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরে কাজ করতেন।
ফসিউর রহমানের ইচ্ছা ছিল, মালিকের অধীনে আর কাজ না করে একদিন নিজেই মালিক হবেন। দীর্ঘদিন বাইরে কাজ করে যে অর্থ জমিয়েছিলেন, তার সঙ্গে ব্যঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে কারখানা শুরু করে দিয়েছিলেন। এখন রমরম করে চলছে তার কারখানা। তার কারখানার কাজ করা যুবকরা পাচ্ছেন বাড়ির কাছে কাজ। কারখানাকে বড় করে আগামীতে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোগী যুবক। ফসিউরের কারখানার কর্মচারী রাহুল বর্মন। তিনি আগে দিল্লিতে কাজ করতেন। বর্তমানে সফিউর রহমানের কারখানায় কাজ করেন।
গত এক বছর ধরে তিনিও পরিযায়ী শ্রমিকের তকমা ঝেড়ে ফেলে নিজের বাড়ির কাছে এই কলকারখানায় কাজ করছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। বাইরে কাজ ছেড়ে নিজের এলাকায় ফিরে এসে কেউ যদি পছন্দের কাজ করতে চান তাদের পাশে থাকে প্রশাসন। লোন থেকে সব কিছু দিয়ে পাশে দাঁড়ায়। তাতে পরিযায়ী শ্রমিকের তকমা ঘুচে যায়। সরকার যেমন পাশে দাঁড়াচ্ছে, তেমন অনেকে আজ নিজের উদ্যোগে পরিযায়ী তকমা ঘোচানোর চেষ্টা করতে বাড়ির কাছে অনেক কিছু করছেন। তাদেরই একজন কালিয়াগঞ্জের ফসিউর রহমান।