মমতাকে বহিষ্কার ‘ঐতিহাসিক ভুল’, আক্ষেপের স্বর প্রদীপের কণ্ঠে
Mamata's expulsion is a 'historical mistake', Pradeep laments

Truth Of Bengal: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা কংগ্রেস বড় ভুল ছিল। ১৯৯৭-এর এআইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রকাশ্য সভায় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আরও স্বীকার করেন, তিনি এই সিদ্ধান্তের সেসময় বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু এআইসিসির সিদ্ধান্ত সোমেন মিত্র সেসময় মেনে নিতে বাধ্য হন বলে তুলে ধরেন তিনি। মমতা সম্পর্কে এই বোধদয়, কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের সেতুবন্ধনে বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। জাতীয় স্তরে যখন মমতাকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করার দাবি উঠছে, তখন এই স্বীকারোক্তি ইঙ্গিতপূর্ণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
মমতাকে বহিষ্কার ‘ঐতিহাসিক ভুল’, আক্ষেপের স্বর প্রদীপের কণ্ঠে pic.twitter.com/wrFhfAKWeS
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) January 5, 2025
কংগ্রেস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার, ঐতিহাসিক ভুল। একথা এবার প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। রবিবার সোমেন মিত্রের আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে এই বোধদয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। অর্থাত্ প্রদীপ ভট্টাচার্য বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কংগ্রেসের বড় সম্পদ। তাঁর মতো জনপ্রিয়তম ও দূরদর্শী নেত্রীকে সরিয়ে দিয়ে কংগ্রেসের হাত দুর্বল হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে।
ইতিহাস বলছে, ১৯৯৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন বসে। নেতাজি ইন্ডোরে সেই সভাস্থলে সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, সীতারাম কেশরীর মতো নেতারা ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ সভায় ছিলেন না তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে মমতা হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের আসল মুখ।
যুবনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়ে ওঠেন মমতা। নেতাজি ইন্ডোরে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন চলেছে, তখনই স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মীসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মীসভায় তৃণমূল স্তরের কংগ্রেস কর্মীরা যোগ দেন। রীতিমতো জনপ্লাবন দেখা যায়। সেদিন দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়, সোমেন মিত্র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে চলতে পারবেন না।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে তখন সোমেন এবং মমতা- দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হত। সীতারাম কেশরী সেদিন সোমেন মিত্রকে বেছে নেন। যারজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ২২ডিসেম্বরম মতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করেন। আর ১৯৯৮-এর ১লা জানুয়ারি ঘাসফুল প্রতীকে লড়াইয়ের লক্ষ্যে নতুন দল গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বাংলায় ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া কংগ্রেসকে তাই আক্ষেপ করতে হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে ।