“কুত্তার মতো গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে”, বিরোধী দলকে বেলাগাম আক্রমন তৃণমূল সাংসদ অরুপের
"Gujur is barking like a dog", says Trinamool MP on Belagam attack on opposition party

Truth Of Bengal : “কুত্তার মতো গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে। বলছে সরকারি প্রকল্পের টাকা চাইনা। হিম্মত থাকলে তাদের নিয়ে মিছিল করে দেখাও। তাহলে বলব বাপের বেটা”। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ সাংসদ অরুপ চক্রবর্তীর।
বিরোধীদের কুত্তা বলে উল্লেখ করে এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেনজির আক্রমণ করলেন বাঁকুড়ার তৃনমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,”এরা কুত্তার মতো গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে। এরা অনেক বেড়ে গেছে। মিথ্যা অপপ্রচার করে বলছে আমরা কন্যাশ্রী, একশো দিনের কাজের টাকা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, পুজোর অনুদান চাইনা। হিম্মত থাকলে এদের নিয়ে মিছিল করে দেখাও। তাহলে বাপের বেটা বলব”।
একই সঙ্গে তৃনমূল কর্মীদের প্রতি সাংসদের পরামর্শ “আপনাদের একটু ফোঁস করতে হবে”। গতকাল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে দলের একটি প্রতিবাদ সভায় প্রকাশ্যে এই বক্তব্য রাখেন তৃনমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি।
আর জি কর ইস্যুতে সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও ক্রমশই আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়াজ উঠছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বা পুজোর অনুদানের মতো সরকারি অনুদান চাইনা, আর জি করের বিচার চাই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা তৃনমূল কর্মীদের মাঠে নেমে একটু ফোঁস করার নিদান দিয়েছেন। আর তারপরই গতকাল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে দলের একটি প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়ে বাঁকুড়ার সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম কে একহাত নেন।
তিনি একসাথে বিজেপি ও সিপিএম কে কুত্তা বলে উল্লেখ করে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে বলেন, “এরা খুব বেড়ে গেছে। গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে। বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, একশো দিনের কাজের টাকা, পুজোর অনুদান নেবে না। হিম্মত থাকলে এদের নিয়ে মিছিল করে দেখান”। একই সঙ্গে তৃনমূল কর্মীদের প্রতি তাঁর প্রয়ামর্শ একটু ফোঁস করুন। সাংসদের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “সারা রাজ্যের পাশাপাশি যেভাবে বাঁকুড়ার মানুষ প্রতিবাদে নেমেছে তাতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে সাংসদের। প্রতিবাদের জেরে ঘুমিয়ে গেছে তাঁর দলের কর্মীরাও। দলের কর্মীদের জাগাতে এখন তাই সাংসদকে ফোঁস করতে বলতে হচ্ছে। এখন কেউ বিষ দাঁত দেখাতে এলে মানুষই বিষ দাঁত ভেঙে দেবে।“