
The Truth Of Bengal: সংসার প্রতিপালনের নিশ্চিত আয়ের উৎস নেই। দিনমজুরির কাজ করে কোনক্রমে সংসার চলে কালিয়াগঞ্জের নসিরাট গ্রামের বছর ২৫ শের যুবক সাধন বর্মনের। দু চোখে রয়েছে, মুখোশিল্পী হয়ে ওঠার স্বপ্ন। কাঠ খোদাই করে তৈরি করছেন হরেক রকমের মুখোশ। পাড়ার দূর্গাপুজার মন্ডপ সজ্জা কারুকাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মুখা শিল্পী হয়ে উঠার লড়াই চালাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের সাধন বর্মন। ধনকৈল পঞ্চায়েতের পৌর এলাকা লাগোয়া নসিরহাট গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের সাধন পেট চালাতে দিনমজুরের কাজ করে। সংসার প্রতিপালনে নিশ্চিত আয়ের উৎস নেই। তবে, মুখোশ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে দু’চোখে। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই অবসর সময়ে হাতে ছেনি হাতুড়ি তুলে নিয়েছে সাধন। সৃষ্টির স্বপ্নে বিভোর সাধনের হাতের ছোঁয়ায় একখণ্ড গামাড়ি কিংবা ছয়তান গাছে কাঠের টুকরো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েকবছরে সাধন কাঠ খোদাই করে বাঘ, সিংহ এবং মা কালীর বেশ কয়েকটি মুখোশ তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু, প্রচারের আলোয় না আসার ফলে সাধনের হাতে তৈরি মুখোশ কিনতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি। মাঝে মধ্যে অর্ডার পান আবার চরক পূজার সময় মূখা গুলি ভাড়া হিসাবে দেন।
তাতে অবশ্য দমে যায়নি সাধন। মুখা শিল্পী হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের শিল্প সাধনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধন। বেশ কয়েকবছর আগে নসিরহাট-হরিহরপুর দূর্গাপুজার মন্ডপ সজ্জার কাজে মালদা থেকে আসা এক শিল্পী কাঠের মুখোশ তৈরি বিষয়ে তাকে উৎসাহিত করেছিলেন বলে জানান শিল্পী সাধন বর্মন।
অপরদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার জানান, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরণের শিল্পীদের ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। সাধন বর্মণ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তিনি কাজ করে যান এবং প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখবে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা আসলে তাকে অবস্য সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সব মেলায় তার সুযোগ করে দেওয়া হবে আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। চাক্ষুষ করা শিক্ষাই আজ মুখোস শিল্পী হয়ে ওঠার লড়াইয়ের হাতিয়ার কালিয়াগঞ্জ এর সাধন বর্মনের।