
The Truth Of Bengal : হুগলি , রাকেশ চক্রবর্তী : এই যুগে যখন মানুষ কাউকে এক টাকা সাহায্যের হাত বাড়াতে দুবার চিন্তা করেন। সেখানে এলাকার মেয়েদের বিয়ের দায়িত্ব তুলে নিচ্ছেন এলাকার দাদারা ও ক্লাবের সদস্যেরা। হ্যাঁ একেবারে ঠিক শুনেছেন হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার অন্তর্গত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’নম্বর সোনাটুলি অবস্থিত সোনাটুলী উন্নয়ন সমিতির এই কার্যকলাপের কার্যত সকলেই হতবাক। কার্যত এলাকার এক মেয়ের বাবা সোনাটুলি উন্নয়ন সমিতিতে এসে জানান। তার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে কিন্তু আর্থিক অবস্থা ঠিক না হওয়ায় কোন কিছুই ব্যবস্থা করে উঠতে পারছেন না, ব্যাস যেই কথা সেই কাজ , সোনাটুলী উন্নয়ন সমিতিতে সাথে সাথেই ক্লাব সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই মেয়ের বিয়ে দায়িত্ব ক্লাবের সদস্যেরা ও পাড়ার দাদারা নেবেন। আজ সকাল থেকেই একেবারে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই হয়ে গেল বিয়ে। ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ এই বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং নিমন্ত্রণ ছিলেন।
যদিও এ বিষয়ে জানতে পেরে এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার বাহবা জানান ক্লাবের সমস্ত সদস্যদের ও পাড়ার দাদারের।তিনি বলেন এইভাবে যদি সমস্ত ক্লাব এগিয়ে আসে তাহলে আগামী দিনে কোন মেয়েরই বিবাহের চিন্তা হবে না। কার্যত হুগলির চকবাজারের সোনাটুলি উন্নয়ন সমিতির কার্যকলাপ এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নেওয়া, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ঔষধের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বহু মানুষের বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছে, যদিও এই ক্লাবের ৫০ জন সদস্য এর মধ্যে কেউই আর্থিকভাবে তেমন স্বাবলম্বী নয়, কেউবা গাড়ির ড্রাইভার কেউবা টোটো চালক কেইবা রঙমিস্ত্রি কাঠমিস্ত্রি অথবা রাজমিস্ত্রি, তবে কাজ তাদের যেমনই হোক মানুষের পাশে থাকার ও সাহায্য করার মনোভাব থাকলে কোনোকিছুই বাধা হতে পারেনা সেটা আজও আবারও প্রমান করলেন সোনাটুলির উন্নয়ন সমিতির সদস্যেরা ও পাড়ার দাদারা।