রামের নামে বাংলার তাঁত শিল্প,রামের জন্মভূমিতে উপহার দিতে উদ্যোগী নদিয়ার শিল্পীরা
Artists of Nadia

The Truth of Bengla: রামের নামে নানা আঙ্গিকে প্রচার চলছে। কোখাও রামের নামে নানা গান তৈরি করা হয়েছে,কোথাও আবার ট্যাটু থেকে নানা শিল্পকর্মে রামের গুণগান করা হচ্ছে। ভক্তদের কাছে তিনি ভগবান।তেতা যুগের ভগবানের সেই অবতারকে কলিকালে আরাধনার জন্য নানা জাঁকজমক করা হচ্ছে। রাজ ছত্রছায়ায় রাজা রামের কাহিনী প্রচারের নানা বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। তার মাঝে বাংলার তাঁত শিল্পের উপহার রামের জন্মভূমিতে পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন নদিয়ার শিল্পী।
দেড় বছর ধরে হস্তচালিত তাঁতে বুনেছেন রামায়ণ শাড়ি। সিল্কের সুতোয় সূক্ষ্ম কাজের মাধ্যমে রামের বনবাস থেকে রাম রাবণের যুদ্ধ তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি কিভাবে অযোধ্যায় রামের অভিষেক হয় তাও নিঁখুত বুননে মেলে ধরা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, রামের অনুষঙ্গ রয়েছে তাঁর এই সৃষ্টিতে। অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্য ফুটে উঠেছে তাঁর এই শাড়িতে, যা বাংলার হস্তচালিত তাঁতশিল্পের এক অনন্য নিদর্শনও। হস্তচালিত তাঁত শিল্পীর তৈরি রামায়ণ শাড়ি নিয়ে শিল্পী নিজেই গিয়েছেন অযোধ্যায়।
শাড়িটি দেখার পর বহু মানুষ কিনতে চাইলেও তিনি বিক্রি করতে নারাজ। তার ইচ্ছা ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে উপহার হিসেবে সশরীরে উপস্থিত থেকে শাড়িটি দিতে চান। বাংলার উপহার হিসেবে শাড়িটি প্রদর্শিত হোক অযোধ্যার রাম মন্দিরে। আর এই বাসনা নিয়েই পিকুল রায় ও তাঁর দাদা অনন্ত রায় অযোধ্যা যাত্রা করেছেন। ট্রেনের রিজার্ভেশন টিকিট পাননি তাঁরা। তবে দমে যাননি। রেলের জেনারেল কম্পার্টমেন্টেই উঠে বসেছেন তাঁরা ।আশা করছেন প্রভূ রামের আর্শীবাদ লাভ করবে এই ক্ষুদ্র সৃষ্টি। জায়গা করে নেবে ভক্তসমাজের আঙিনায়।