Uncategorized

অমানবিক! ট্রেনের ধাক্কায় আহত বৃদ্ধের সাহায্যে এলো না রেলপুলিশ, মৃত্যুর আগে জুটল না জল

The railway police did not come to the aid of the old man injured by the train, water did not reach him before he died

The Truth Of Bengal,মালদা:  অমানবিক রেল পুলিশ। ট্রেনের ধাক্কায় আহত বৃদ্ধ জলের জন্য ছটফট করলেন। চিকিৎসা ছাড়াই পড়ে থাকলেন প্লাটফর্মে। ঢোলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। যাত্রীরা সাহায্যে এগিয়ে এলে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করল রেল পুলিশ।তারপর যখন নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে ততক্ষণে সব শেষ।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত এক অসুস্থ বৃদ্ধ কে দীর্ঘক্ষণ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রায় এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ফেলে রাখল রেল পুলিশ। আজ সকালে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে অসাবধানবশত রেলের চাকায় হাত এবং পা কাটা যায়। ওই আহত বৃদ্ধকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে রোদের মধ্যে শুইয়ে রাখল রেল পুলিশ। হাসপাতালে পাঠানো তো দূর, ওই ব্যক্তি বারবার জল খেতে চাইলেও অমানবিক রেল পুলিশ জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি।

এমনকি যাত্রীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাদেরকেও লাঠি উঠিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসার অভাবেই ওই বৃদ্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছটফট করতে করতে মারা যান।সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তাদেরকেও রেল পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি কয়েকজন যাত্রী ওই আহত বৃদ্ধকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে তার মুখে জল দিতে গেলে তাদেরকেও লাঠি উঁচিয়ে তাড়িয়ে দেয় রেলের পুলিশ। জল চাইতে চাইতে ওই বৃদ্ধ ছটফট করতে করতে মারা যান হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। এরপরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আহত ব্যক্তিকে আগে আনলে বাঁচানো সম্ভব হতো। রেল পুলিশের গাফিলতির জন্যই এই বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এমনকি এই দেহের দায়িত্ব কে নেবে এই নিয়ম দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়ন চলে রেল পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মধ্যে। হরিশ্চন্দ্রপুরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু ভক্ত বলেন ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল আগে আনলে হয়তো তার চিকিৎসা করা সম্ভব হতো হয়তো উনি বেঁচে যেতে পারতেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে। তবে এই অমানবিক ঘটনার মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

  

Related Articles