
The Truth of Bengal: পাখি ভালবাসেন না, এমন মানুষ দেখা মেলা ভার। শহুরে যানবাহনের কোলাহল থেকে বাঁচতে এবং পাখিদের সুমধুর কণ্ঠস্বর শোনার উদ্যেশে এই উইকেন্ডেই বেড়িয়ে পড়ুন পূর্বস্থলীতে। কলকাতার খুব কাছেই এই জায়গা। যেদিন যাবেন সেদিন ফিরেও আসতে পারেন, আবার মন চাইলে অনায়াসে একদিন পাখিদের সাথে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন । বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখায় ভর করে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাখিরা আসে পূর্বস্থলীতে। গঙ্গার প্লাবনভূমি, উর্বর পলিমাটি এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত পূর্বস্থলী অঞ্চলকে সবুজ ও শ্যামল করে তুলেছে। ভুট্টা, ধান, সরিষা, পাট, আলু এবং সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি, ফল ও ফুলের জমি দেখা যাবে এই অঞ্চলে। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই পাখিরালয় পর্যবেক্ষকদের কাছে স্বর্গ এবং অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
কি ভাবছেন? কীভাবে যাবেন?
পূর্বস্থলী যাওয়ার একটি সেরা ট্রেন হলো হাওড়া – কাটোয়া লোকাল। এই ট্রেনে আপনি প্রায় ৩ ঘন্টার মধ্যে পূর্বস্থলী পৌঁছে যাবেন। স্টেশন এলাকা থেকে একটি টোটো ভাড়া করে চলে যেতে পারেন পূর্বস্থলির হ্রদে । যা যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট । এছাড়াও নবদ্বীপ বা মায়াপুর গামী বাসে চড়েও , সেখান থেকেও যেতে পারেন পূর্ব বর্ধমানের এই অফ বিট জায়গায়। পর্যটকরা এখানে এসে নৌকো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন। পাখি দেখতে নৌকার মাঝিরা পর্যটকদের গাইড করে থাকেন। অনেকে আবার পিকনিকের উদ্দেশ্যেও বেছে নেন এই স্থান।
গেলে থাকবেন কোথায়?
পূর্বস্থলীতে সর্বোত্তম থাকার বিকল্প হল চুপি কাষ্ঠশালী পাখিরালয়, যা পূর্বস্থলী অক্সবো লেক বা চুপি চরের পাশে অবস্থিত। পূর্বস্থলী ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস, কাষ্ঠশালী গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কয়েকটি আশেপাশের ক্লাব যৌথভাবে এই বাসস্থান টি প্রতিষ্ঠা করে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা সম্পূর্ণরূপে এই বিশেষ গ্রাম্য আকর্ষণ পরিচালনা করেন। চারটি নবনির্মিত লেকসাইড কটেজ, একটি আট শয্যার ডরমেটরি, একটি সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ পার্ক এবং পাখি দেখার টাওয়ারও রয়েছে এখানে।