AI Helps Infertile Woman: ১৫ বার আইভিএফে ব্যর্থ! এআই-এর জাদুতে অবশেষে মা হলেন ১৯ বছরের সন্তানহীন মহিলা
A woman in the U.S. finally conceived after 15 failed IVF attempts over 19 years, thanks to a revolutionary AI technology called STAR
Truth of Bengal: সন্তানধারণে ব্যর্থতা—বিশ্বজুড়ে বহু দম্পতির কাছে এ এক অসহায় যন্ত্রণা। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আশীর্বাদে আইভিএফ এবং সারোগেসির মাধ্যমে অনেকেই আজ মাতৃত্ব বা পিতৃত্বের স্বাদ পাচ্ছেন। তবে প্রযুক্তির এত উন্নতির পরেও, সবসময় এই প্রক্রিয়া সফল হয় না। ঠিক যেমন ঘটেছিল আমেরিকার এক মহিলার ক্ষেত্রে। ১৯ বছর ধরে বিবাহিত জীবন, তবুও মাতৃত্ব অধরাই ছিল। ১৫ বার চেষ্টা করা হয়েছিল আইভিএফ পদ্ধতি। কিন্তু প্রতিবারই বিফল! হতাশা, চোখের জল, ভাঙা মন—সব মিলিয়ে যেন জীবন থমকে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Kajol: দীপিকা-সন্দীপ বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় বিনোদন দুনিয়া, এবার মুখ খুললেন কাজল
তবে আশ্চর্যজনকভাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি তার জীবনে এক নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ও চিকিৎসকের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা—এই মহিলার গর্ভধারণ। এই সাফল্যের মূলে রয়েছে ‘STAR’ নামে এক অভিনব এআই নির্ভর পদ্ধতি। STAR-এর পূর্ণরূপ Sperm Tracking and Recovery। এ এমন এক প্রযুক্তি, যা মানুষের চোখে প্রায় অদৃশ্য শুক্রাণুকেও নির্ভুলভাবে শনাক্ত ও আলাদা করতে সক্ষম।
জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী ‘azoospermia’ নামক এক বিরল বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছিলেন, যেখানে বীর্যে কোনও শুক্রাণু পাওয়া যায় না, অথবা থাকলেও তা এতই ক্ষুদ্র ও দুর্বল যে সাধারণ পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে না। এই সমস্যার কারণ হতে পারে শুক্রাণুর উৎপাদন না হওয়া বা তা নির্গমনের পথে বাধা। কিন্তু STAR পদ্ধতির মাধ্যমে সেই ‘অদৃশ্য’ শুক্রাণুকে খুঁজে বের করা গেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারী যন্ত্র প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০ লক্ষ ছবি তুলতে পারে, যার মাধ্যমে অনায়াসে চিহ্নিত করা যায় সবচেয়ে ক্ষুদ্র শুক্রাণু। এরপর পৃথক একটি যন্ত্র দিয়ে সেগুলি আলাদা করা হয় এবং সুস্থ ডিম্বাণুর সঙ্গে নিষিক্ত করা হয়।
Truth of bengal fb page: https://www.facebook.com/share/1DpmwTbAnA/
এই যুগান্তকারী যন্ত্রটি তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর। অবশেষে, ১৫ বার আইভিএফে ব্যর্থ হয়ে যে আশা প্রায় নিভে গিয়েছিল, তা আবার নতুন করে জ্বলে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্পর্শে।একদিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অদম্য অগ্রগতি, অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির অদ্বিতীয় দক্ষতা—এই যুগলবন্দি আবারও প্রমাণ করল, আশাকে কখনও মরে যেতে দেওয়া উচিত নয়।






