বাবার মতোই প্রতিভাবান লুকা মনে করিয়ে দিচ্ছেন কাকাকে
Luca reminds his uncle that he is as talented as his father

Truth Of Bengal: বয়স মাত্র ১৬ বছর। আর এই বয়সেই ফুটবল পায়ে নিজের শৈল্পিক ছোঁয়া দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করছে এক কিশোর। যাঁর খেলার ধরন মনে করিয়ে দেয় ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলারকে কাকাকে। অনেকে হয়ত তাঁর পরিচয় জানেন না। কিন্তু ওই কিশোরের খেলার স্টাইল দেখেই পরিচয় পাওয়া যায় সে কাকার-ই পুত্র। তারজন্য আর অন্য কোনও পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণের দরকার নেই।
ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার কাকা ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৭ সালে। কিন্তু তিনি রয়ে গিয়েছেন সেই আগের মতোই ছিপছিপে। কাকার ছেলে লুকার খেলার স্টাইল দেখে যাঁরা তাঁর পরিচয় জানেন না, তাঁদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে কাকার সেরা ফর্মে থাকার ছবির কোলাজগুলি। সেই চিরচারিত বল নিয়ে দৌড়ে যাওয়া, তারপর ইনসাইড-আউটসাইড ডজে বিপক্ষের খেলোয়াড়দের ছিটকে দেওয়াই ছিল তাঁর বিশেষত্ব।
লুকার-ও যেন ঠিক সেইভাবেই বলকে কথা বলায়। অবলীলায় সাপের মতো বেঁকে দূরন্ত গতিতে পৌঁছে যায় বিপক্ষের বক্সে। যেন বাবার-ই কার্বন কপি। ঠিক যেন মনে হবে কাকাই আবার মাঠে নেমেছেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লুকার অনুশীলনের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ভিডিওটি সামাজিক পোস্ট করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাও পাওলোয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিলের অনুশীলনে লুকার ফুটবল–প্রতিভা দেখা গিয়েছিল। দারুণ পায়ের কাজে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার দাভিদ লুইজকে বোকা বানিয়েছিলেন ৭ বছর বয়সি লুকা। তাঁর ফুটবল প্রতিভা মুগ্ধ করেছিল অনেককেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, লুকাকে ঠিকমতো রাখতে পারলে আগামী দিনে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার হয়েই বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এবং ২০০৭ সালে ব্যালন ডি’অর জয় করেছিলেন কাকা। তাঁর ফুটবল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে সাও পাওলো ফুটবল ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে। তারপর তাদের মূল দলে তিন বছর খেলার পর ক্লাব পরিবর্তন করে কাকা পাড়ি দেন ইতালিতে।
সেখানে এসে সিরিএ-র ক্লাব এসি মিলানের জার্সি গায়ে তোলেন তিনি। তাদের হয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জয় করেছিলেন। তারপর ২০০৯ সালে মিলানের ক্লাবটির মায়া ত্যাগ করে চলে যান স্পেনে। যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। চার বছর মাদ্রিদের ক্লাবের হয়ে খেলেন তিনি। তাদের জার্সিতেই জয় করেছেন লা লিগার খেতাব। তবে রিয়াল ছেড়ে আবার ২০১৩ সালে এসি মিলানে ফিরে এসেছিলেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৯২টি ম্যাচে ২৯টি গোল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তবে ফুটবলকে বিদায় জানান আরল্যান্ডো ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলেই।