
The Truth of Bengal: গোল যেন মাস্ট তার পা থেকে । গত দুই মরসুম ধরে মোহনবাগানের মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন তিনি। কোনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে মোহনবাগান খেলতে নামলেই তাঁর পা থেকে গোল পাওয়া যাবে। আইএসএলের ফাইনালে জোড়া গোল করেছিলেন। ডুরান্ডের ফাইনালেও গোল এসেছে তাঁর পা থেকে। সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস সমর্থকদের আসল নায়ক হয়ে উঠেছেন । তার হাতে সমর্থকেরা একের উপহার তুলে দিয়েছেন ।ফ্রেমে বাঁধানো ছবি , উত্তরীয় ও একটি স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে দিমিত্রির হাতে। খুশি সমর্থকেরা। খুশি দিমিত্রি । হাসি ফুটেছে তার মুখে। সেপ্টেম্বরের পারফরমেন্স বিচার করেই সমর্থকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । দিমিত্রির আত্মবিশ্বাস এতে আরো দ্বিগুন হয়েছে।
তিনি আগেই হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন আইএসএলে তাঁর আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যাবে।ডুরান্ডের ফাইনালে গোল করলেও গোটা প্রতিযোগিতায় খুব একটা ভাল ফর্মে দেখা যায়নি পেত্রাতোসকে। প্রথম ডার্বিতে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।ডুরান্ড ফাইনালের ডার্বিতেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়েও জয়সূচক গোল করেছেন তিনি। কার্যত একার দক্ষতাতেই তিনি বাগানের হাতে এই সাফল্য তুলে দেন। মাঝমাঠ থেকে বলটা তুলে নিয়ে আসেন। এরপর বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করেছিলেন। আর সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ফাইনাল জয়ের স্বপ্নে তিনি জল ঢেলে দিলেন।ডুরান্ডে ৯০ মিনিটের ম্যাচের পর শেষ হাসি হাসল সবুজ মেরুনই। বাগানের হয়ে ফুল ফোটালেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
যদিও যাযা সাফল্য পেয়েছে পেত্রাতোসের দল তা নিয়ে তিনি মনে করেন তাঁর দলের খেলোয়াড়রা শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য বদ্ধপরিকর হয়ে লড়াই করার ফলেই ম্যাচে গুলোতে জয় লাভ হচ্ছে। তিনি সেরা নায়ক হলেও তার কৃতিত্বে রয়েছে সতীর্থরা। তবে ডুরান্ডে জয়লাভ করতে পেরে সবুজ মেরুনএই দুরন্ত জয় পেত্রাতোস উৎসর্গ করছিলেন , তার পরিবার এবং অবশ্য়ই সমর্থকদেরকে। আর সমর্থকেরা যেন তার ফিরিয়ে দিলেন প্রিয় তারকা ফুটবলারকে। এর আগে বহু পুরুস্কার পেলেও সমর্থকদের কাছ থেকে এমন পুরস্কার পাওয়া , যা একেবারেই অন্য রকম ভালো লাগা : এমনটাই মন্তব্য করেছেন দিমিত্রি।
Free Access