
The Truth of Bengal: রা্ষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা তুলে ধরে এক সময় বিজেপি নেতা বাজপেয়ী-আদবানিরা ৩৫৫ও ৩৫৬ ধারার বিরোধিতা করেন। গুজরাটের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার দায়বদ্ধতায় জোর দেন। ২০০১ নাগাদ তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই নরেন্দ্র মোদি এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর দল কেন্দ্রে ক্ষমতায়।অথচ দেখা যাচ্ছে, ভোটে জিততে না পেরে বিজেপি একের পর এক রাজ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার নজির গড়েছে। মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্রে আয়ারাম-গয়ারামের রাজনীতি আমদানি করে ঘোড়়াকেনাবেচার স্পষ্ট অভিযোগ ওঠে সেই বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রশ্ন ওঠে কোথায় গেল নীতি–নৈতিকতা? কোথায় গেল রাজধর্মের বিশুদ্ধ বাণী?
তার মাঝে এই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর কেন্দ্রের শাসকদের মুখে শুধুই হুমকি আর বল্গাহীন ভীতিপ্রদর্শনের ক্ষমতার আস্ফালন। পরিসংখ্যান বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করেছে, বিজেপি ৩৮ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এই সমর্থনের সত্য-তথ্যকে কী বিজেপি মানতে নারাজ? রামরাজ্যের নামে কী তারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চাইছে? কারণ বিজেপির নেতাও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতি মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হুঙ্কার
শান্তনুর থেকে একধাপ এগিয়ে সুকান্তও বললেন, ৫ মাস-৬ মাস পর যখনই হতে পারে সরকার পড়ে যেতে পারে। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সব কিছুর সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের তোপ তিনি কী গনত্কার? তাই ভবিষ্যতবাণী করছেন। ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, হুঙ্কার দিয়েছেন,৩৫৫ ধারার পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
সাধারণতঃ কোনও রাজ্যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থাকে বা বহিরগত শক্তি আক্রমণ করে তাহলে ৩৫৫ধারা প্রয়োগ করা হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির এই কেন্দ্রীয় ক্ষমতা অপপ্রয়োগের হুমকিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা তোপ আসলে দিল্লিতে বিজেপির সরকার ৬ মাস পর বদলাবে বলে বাংলাকে অস্থির করার ছক কষা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতও পথে বিরোধী শিবির দিল্লিতে একজোট হওয়ার চেষ্টা করায় কেন্দ্রের শাসকরা ডর পাচ্ছে। তাই ডামাডোল সৃষ্টি করে ঘোলাজলে মাছ ধরার অপচেষ্টা বলেও মুখ খুলছে তৃণমূল নেতৃত্ব।