
The Truth of Bengal: বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যময় দশঅবতার শিল্প ও শুশুনিয়ার পাথর শিল্প এখন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ডাক বিভাগও এই শিল্পের কাজ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে। কিন্ত পাথরের অভাবে পাথর শিল্পে এখন ভাটা পড়ছে। শিল্পীরা বলছেন, পাথরের জোগান বাড়লে ভালো হয়। বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী শিল্পের হরেক উপহার আমরা পাই। পোড়ামাটি থেকে পাথরশিল্প, সবের ধ্রুপদী শিল্পকর্ম বিশ্বজুড়ে কদর পাচ্ছে। লালমাটির জেলার শিল্পের ভাঁড়ারে রয়েছে আরও অনেক কিছুই। যার মধ্যে অন্যতম বিষ্ণুপুরের পাথরে খোদাই করা শিল্পের সৌন্দর্য।
আর অবহেলিত শিল্পগুলোকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে এগিয়ে এল ডাক বিভাগ। ডোকরা শিল্পের উন্নতির জন্য ডাক বিভাগ অনেক আগেই বিশেষ খাম প্রকাশ করে। ঐতিহ্যময় শিল্পের শোভা ফুটে উঠেছে, বিষ্ণুর দশ রূপে। সেই দশঅবতার শিল্প ও শুশুনিয়ার পাথর শিল্প এখন শিল্প সমঝদার মানুষের মনে ছাপ রাখতে তৈরি।
বাঁকুড়ার এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হলে ডাক বিভাগের এক অনুষ্ঠানে দু’টি খামের প্রকাশ করেন ডাক বিভাগের কর্তারা। শিল্পীরা চাইছেন পাথর শিল্পের রসদের জোগান বাড়লে এই শিল্পকর্ম আগামীদিনে এগিয়ে যাবে।
বিষ্ণুপুর ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের জন্যও বিখ্যাত। শহরটি তার মৃৎশিল্প, পোড়ামাটির ভাস্কর্য এবং ডোকরা ধাতব কারুশিল্পের জন্য পরিচিত। বিষ্ণুপুরের কারিগররা সুন্দর পোড়ামাটির ভাস্কর্য তৈরিতে দক্ষ, যা হিন্দু পুরাণের দৃশ্যগুলিকে চিত্রিত করে।শিল্পের বহমান ধারাকে বজায় রাখতে প্রশাসন অনেকক্ষেত্রেই সহযোগিতা করেছে।আগামীদিনে সরকারি সাহায্যের হাত ধরে এই শিল্পের কারিগররা বিশ্ববাজারে শ্রেষ্ঠত্বের নমুনা রাখতে আগ্রহী।