
Truth of Bengal: বৃহস্পতিবার কালীপুজো। দীপাবলি উৎসবে মেতে উঠবে আমবাঙালি। তার আগে মঙ্গলবার গৃহের মঙ্গল করার জন্য ধনতেরস পালন করছে উত্সবপ্রেমীরা। এক বিশেষ বর্ণময় দিনের হাত ধরে শুরু হয় ধনতেরস। ধনদেবী লক্ষ্মী এবং ধনদেবতা কুবেরের আশীর্বাদ লাভে এই দিন মানুষ সোনা-রুপোর মতো ধাতু কিনে ঘরে নিয়ে আসেন। দারিদ্রতাকে জয় করে সংসারে সমৃদ্ধি আনার লক্ষ্যে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়।
শারদ উৎসব শেষ। শেষ হয়েছে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনাও। এবার আপামর বাঙালি আলোর উৎসবে মেতে উঠতে তৈরি ।৩১ শে অক্টোবর দীপান্বিতা অমাবস্যা। বিশ্বাস করা হয়, কার্তিক মাসের কৃষ্ণ পক্ষে দেবী কালী অন্ধকার দূর করে প্রদীপের আলোক শিখা জ্বেলে মর্তে নেমে আসেন। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির সূচনা করতে তিনি ধরাধামে বিরাজ করেন। এই শুভ দিন উপলক্ষে বাঙালিরা,মৃৎশিল্পীদের হাতের তৈরি প্রদীপ জ্বালেন। এই দীপাবলি উৎসবের শুরু হয় আরও এক বিশেষ দিনের হাত ধরে। মঙ্গলবার সেই বর্ণময় দিনটি হল ধনতেরস।
এক দশক আগেও বাঙালিদের মধ্যে ধনতেরস উপলক্ষে এতো ধুম ছিল না। তবে সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে বাঙালিদের মধ্যে ততই ধন-সম্পদ বৃদ্ধি বা লক্ষ্মী আগমনের প্রতি আসক্তি বাড়ছে । যার জন্য এই ধনতেরস উৎসব পালন করা হয় বলে অনেকের অভিমত। এই উৎসব আসলে ধন সম্পদের উৎসব। এইদিনে দেশ মেতে ওঠে ধনদেবী লক্ষ্মী এবং ধনদেবতা কুবেরের আরাধনায়। দরিদ্রকে জয় করে সংসারে সমৃদ্ধি আনতে ধনতেরসের দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপন করা হয়।
প্রচলিত আছে ধনতেরেসের দিন ধাতু কিনলে ধন দেবী লক্ষ্মী বাড়িতে আসেন। তাঁর আশীর্বাদ পেলে সংসারে আসবে সমৃদ্ধি। সেই কারণেই এই দিনে মূল্যবান ধাতু কেনার চল রয়েছে। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে শহর ও গ্রাম গঞ্জের সোনা এবং রুপোর দোকানে ভিড় উপচে পড়ে। দেওয়া হয় নানা ধরনের অফার। আবার যাদের সামর্থ্য নেই সোনা বা রুপো কেনার তারা কিনে নেন তামা বা পিতলের নানা সামগ্রী। তবে বাজারে আগুন ছোঁয়া দামের কারণে বাঙালিরা ধনতেরস উপলক্ষে কিনে নিচ্ছেন নুন এবং ঝাঁটা।
কেবল ধাতু কিনলেই চলবে না, এইদিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার পর ভক্তরা ঘরের দুয়ারে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করে। চলতি বছর চিনা বাল্ব বা টুনি বাল্বের পরিবর্তে মানুষ মাটির প্রদীপ কিনতেই বেশি পছন্দ করছেন। ক্রেতাদের মতে. মাটির প্রদীপ,আসলে ঐতিহ্য এর সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। তাই যতই বাজারে বৈদ্যুতিক বাতি আসুক, প্রদীপের ঐতিহ্যের শিখা বজায় থাকবে সর্বদা।