
The Truth of Bengal,Mou Basu: আশ্বিন মাস বাঙালির অতি প্রিয় মাস কারণ “আশ্বিন মাসে বাপেরবাড়ি আসেন ভগবতী।” আর মাত্র হাতে গোনা দিন পরেই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ কার্নিভাল দুর্গাপুজো। দেবীপক্ষ আসার আগে থাকতেই বাঙালির মনে প্রাণে বেজে উঠেছে ঢাকের ঢ্যাং কুড়াকুড় বাদ্যি। অভিনব থিমে নজর কাড়তে প্রস্তুত নিউটাউন সর্বজনীনও। এই পুজোর এবারের থিমের ট্যাগলাইন “রাগেশ্রী দুর্গা”। থিমের সৃজনের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী অনির্বাণ দাস।অনির্বাণ জানান, যিনিই দুর্গা তিনিই রাগেশ্রী। দেবী দশভূজার পুজোর সূচনা পর্বের অন্যতম অংশ হল মহাস্নান।
সেই মহাস্নানে দেবীকে দর্পণে শোধন করতে লাগে অষ্টতীর্থের জল। আট রাগে ধ্বনিত হতে থাকে সঙ্গীত। আমাদের সঙ্গীত ধারণ করে রেখেছে দেবীকে। ৬ রাগ ৩৬ রাগিণীর যে বিপুল বিস্তার তারমধ্যে এক প্রধান রাগ দুর্গা। রাগেশ্রী সেই দুর্গারই এক মনোহর রূপভেদ।’আমাদের দেবলোক সুরে তালে লয় সম্পূর্ণ। কিন্নর দেশ হল সপ্তসুরের বাসভূমি। দেবতাদের সুরে ভুলিয়ে রাখার আয়োজন যাদের হাতে তাঁরাই অপ্সরা, কিন্নর-কিন্নরি, গন্ধর্ব-গান্ধর্বীর দল। এঁদের দেবতা মহাদেব। মার্গসঙ্গীতের আদিদেবও নটরাজ শঙ্কর।
অনির্বাণ আরো জানান, দুর্গাপুজোর মহাস্নানের সময় বৃষ্টির জল, শিশিরের জল, সাত সমুদ্রের জল প্রভৃতি আট রকমের জল দিয়ে দেবী দুর্গাকে অভিষিক্ত করা হয়। প্রতিটি কলসির জল বর্ষিত হয় এক একটা রাগরাগিণীর সঙ্গতে। বড়ো মধুর সে সব রাগ, নামগুলিও খুব সুন্দর। যেমন, মালব, ললিত, বিভাস, ভৈরব, কোড়া, বরাড়ী, বসন্ত ও ধানসী। এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে কিন্তু এক সময় ভারতের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে এক আশ্চর্য চিত্রকলা- “বাশোলি” চিত্রধারা দেখা যেত। আবার হিমাচল প্রদেশের কাংড়ার যা এক সময় স্বাধীন রাজ্য ছিল সেখানেও এক মহান শিল্পশৈলী দেখা যেত। এই দুই ধারাতেই বিখ্যাত ‘রাগমালা চিত্রকলা’। কাংড়ার চিত্রের রাগমালায় সেজে উঠছে নিউটাউন সর্বজনীনের পূজা মণ্ডপ।’
Free Access